চাটগাঁইয়া লাল বিরিষ

96

মুশফিক হোসাইন

প্রতি বছর ঈদুল আজহার সময় ছোট ভাই কোরবানীর পশুর হাটে যাবেই। শত কাজ ব্যস্ততা থাকলেও তাঁর যাওয়া চাই। তাঁর পছন্দ লাল বিরিষ। এটা একটি ছোট্ট উদাহরণ। বাস্তবে চাটগাঁইয়াদের কোরবানের পশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ লাল বিরিষ। অবশ্য কাঁচা পয়সাওয়ালারা বিরাট বিরাট লাইনের গরু পছন্দ করে থাকে। যাই হোক সাধারণ চাটগাঁইয়াদের শুধু কোরবান নয়, মেজবান, বিয়ে-শাদী ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানেও পশু ক্রয়ে লাল বিরিষের প্রাধান্য দেখা যায়। প্রাচীনকাল থেকে এই ধারা চলমান। বৃহত্তর চট্টগ্রামে গৃহস্থদের লাল গাই পালনের প্রবণতা তারই সাক্ষ্য বহন করে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই লাল গাই দেখা যাবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি লাল গরু/বিরিষ/গাইয়ের সমাবেশ ঘটে আনোয়ারা থানার সরকার হাটে। দূরদূরান্তের ক্রেতারা লাল গরু কেনার জন্য এই হাটে ভীড় করে থাকেন। চাটগাঁইয়া ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে বেশ কিছু অনুসঙ্গ আছে, যা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে ভিন্নতর ও স্বকীয়তায় ভাস্কর। লাল গরু তারই একটি উদাহরণ মাত্র। এই লাল গরু আমাদের ঐতিহ্য। একে সংরক্ষণ করা জরুরি।
কর্ণফুলি অববাহিকার বৃহত্তর চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, পেকুয়া, লোহাগাড়া, হাটহাজারী, রাউজান প্রভৃতি থানা ও উপজেলায় লাল গরুর ঘনত্ব বেশি। লাল গরু চাটগাঁইয়া বিরিষ/গাই যা পশু বিজ্ঞানিদের কাছে ‘চিটাগং রেড কেটেল’ (আরসিসি) নামে পরিচিত। এই লাল গরু বাংলাদেশের প্রাণী সম্পদের একটি নিজস্ব প্রজাতি। একে ‘অষ্টমুখী’ বা ‘সুন্দরী’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। মুন্সীগঞ্জ জেলার মীরকাদিমে ‘সাদা গরু নামে আর একটি প্রজাতি আছে, যা বাংলাদেশের নিজস্ব বলে দাবী করা হয়। এটি খাটো আকৃতির, তার চোখ মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ সাদাটে। অনেকে মনে করেন, ভুটানের এক প্রজাতির সাথে এর মিল পাওয়া যায়। তবে চট্টগ্রামের লাল গরুর সাথে বিশ্বের অন্য কোথাওয়ের গরুর সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রশ্ন হলো এই লাল প্রজাতির গরু কবে, কিভাবে এবং কখন হতে এদতাঞ্চলে উদ্ভব হলো তার কোন তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায় নি। তারপরও কোন কোন বিজ্ঞানি মনে করেন যে, ‘চিটাগং রেড কেটেল হয়ত বিদেশি গরুর জিন থাকতে পারে।’ তবে তাঁরা এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ দিতে সক্ষম হন নি। যতদূর জানা যায় লাল গরুর ‘জিনোম সিকোয়েন্স সনাক্ত করা হয় নি। বিএলআরআই এ নিয়ে গবেষণা করছে। তারাও কোন সূত্র উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয় নি। তারপরও আমরা সাদা গরু ও লাল গরু আমাদের প্রজাতি বলে বিবেচনা করব।
ইতিহাস ও পশু বিজ্ঞান থেকে আমার প্রতীত জন্মেছে যে, লাল গরুর সাথে পাকিস্তানের ‘শাহীওয়াল’ গরুর বৈশিষ্ট্যের সাথে কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সম্ভবত অষ্টাদশ শতাব্দিতে আরব ধর্ম প্রচারক ও বণিকদের মাধ্যমে শাহীওয়াল প্রজাতির গরু চট্টগ্রামে আসে। এখানে উল্লেখ্য যে, সপ্তম শতকে আবরগণ ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সমূহে শাসন করে। তখন জ্ঞান বিজ্ঞান ও শিক্ষা-দীক্ষায় মুসলমানগণ বিশ্বখ্যাতি লাভ করেন। গ্রানাজা ও কর্ডোভায় শিক্ষা ও বিজ্ঞানের উন্নতি সর্বজন বিদিত। মুসলমানগণ ভ‚মধ্যসাগরীয় দেশসমূহে প্রায় দুইশত বছর শাসন করে এবং বিশ্বকে জ্ঞান ও বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করে। অষ্টাদশ শতাব্দিতে মুসলমান ধর্মপ্রচারক ও বণিকগণ ধর্মপ্রচার ও বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে পাক-ভারত উপমহাদেশে আগমন করেন। তাঁরা বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্যসামগ্রী আনতেন। আর এদতাঞ্চল থেকে গরম মসল্লা, আগর, মসলিন, লবণ, তুলা ও বন্যপশুপাখি নিয়ে যেতেন। তাঁদের মাধ্যমে (সম্প্রতি হারিয়ে যাওয়া) ‘ইয়াসিন কুরার’ প্রজাতি চট্টগ্রামে আসে। তেমনি ভাবে সম্ভবত চাটগাঁইয়া লাল গরুর বীজ তাঁরাই চট্টগ্রামে আনেন। তৎসময়ে উপমহাদেশে চট্টগ্রাম একটি প্রসিদ্ধ বন্দর রূপে খ্যাতি পায়। আনোয়ারার জুলধা এলাকায় এ বন্দরের অবস্থান ছিল। ধারণা করা হয় বণিকগণ চট্টগ্রাম আসার পথে পাকিস্তানের করাচি, ভারতের কোচিন আন্দামান ও শ্রীলঙ্কার সিংহল বন্দর ইত্যাদিতে মালামাল বেচাকেনা করতেন। সম্ভবত তাঁরা পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে শাহীওয়াল প্রজাতির বকনা/গাভী নিয়ে আসেন। উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসা অথবা স্থানীয় শাসককে উপহার দেয়া। উল্লেখ্য শাহীওয়াল গরুর কিছু বৈশিষ্ট্যের সাথে লাল গরুর বৈশিষ্ট্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রধানত গায়ের রঙ ও দুগ্ধ প্রদান। আমদানিকৃত শাহীওয়াল গরুর সাথে স্থানীয় গরুর প্রজনন ঘটে। সংকরায়নকৃত এই গরুই কালক্রমে লাল গরু বা অষ্ট্রমুখী বা আরসিসি নামে প্রসিদ্ধ লাভ করে। এর সুন্দর গায়ের রঙ, দুগ্ধ দান, বাজার চাহিদা এবং স্বল্প আহার ও পরিবেশেরর সাথে খাপ খাওয়ানোর গুণগত কারণে চট্টগ্রামে এর প্রজনন বিস্তার লাভ করে। জুলধায় Ÿন্দর ও দুর্গ থাকায় স্থানীয় শাসক এখানে অবস্থান করার তথ্য পাওয়া যায়। যারা লাল গরুর পৃষ্ঠপোষকতা করেন যার কারণে আনোয়ারা এলাকায় লাল গরুর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।
রেড কেটেল চিটাগং (আরসিসি) দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। এই প্রজাতির গরুর চামড়া গাঢ় লাল থেকে হালকা ইট লাল, হলদে লাল বা সাদাটে লাল। মোট কথা ওদের চামড়ায় লাল রঙের প্রাধান্য অবশ্যই থাকবে। পেটের নিম্নাংশে হালকা সাদাটে। দৈর্ঘ্য ১৩০ থেকে ১৪০ সেন্টিমিটার। উচ্চতা গড়ে প্রায় ২৪ সেন্টিমিটার। প্রাপ্ত বয়স্ক ষাড়ের ওজন ৩৫০ থেকে ৪০০ কেজি, গাভী ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি। লাল গরুর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হলো এরা দেখতে ছোট আকৃতির হলেও পেছনের অংশ ভারী। চামড়া পাতলা, শিং মাঝারি এবং চ্যাপ্টা। মুখ খাটো, মাঝারি ধরনের গলকম্বল, গলা খাটো সামান্য কুঁজ। এদের শরীরের বিশেষ কিছু অংশ যেমন শিং এর গোড়া, ক্ষুর, চোখের পাতা, ভ্রæর, যোনিপথ, লেজের গোছা লাল আভাযুক্ত। এ কারণেই এই গরুকে ‘অষ্টমুখী’ বা ‘সুন্দরী’ নামে ডাকা হয়। এদের ওলান বেশ বর্ধিত, বাট সুডৌল, দুগ্ধ শিরা স্পষ্ট, গাভী অনুপাতে লেজ লম্বা। লেজের শেষ প্রান্তের গুচ্ছ লাল বর্ণের।
লাল গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য যে কোন গরুর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। স্থানীয় পরিবেশের মাথে খাপ খাইয়ে সার্থকভাবে জীবন ধারণ করতে অতিশয় পরাঙ্গম। এই প্রজাতির গাভীর গর্ভধারণ হার বেশি। দশ বছরে এ প্রজাতির গাভী থেকে ৬ থেকে ৭টি বাচ্চা পাওয়া যায়। বলা যায় গড়ে এরা একটি করে বাচ্চা প্রসব করে। কোন কোন ক্ষেত্রে দুই বছরে তিনটি বাচ্চা প্রসব করে। লাল গাভী বছরে গড়ে ২৩০ থেকে ২৫০ কেজি দুধ দেয়। দৈনিক ৪ থেকে ৫ কেজি দুধ দোহানো যায়। দুধে ফ্যাট পারসেনটেজ বেশি। অর্থাৎ চর্বির পরিমাণ প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ। আকারে ছোট হওয়ায় এদের খাদ্য চাহিদা কম। এছাড়া দেশিয় খাবার অনায়াশে খেয়ে থাকে। অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হয় না। দেশিয় উৎস থেকে খাবারের যোগান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, সহজে প্রজনন, দুগ্ধদান, দেখতে সুন্দর এবং বাজার চাহিদা থাকার কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও খামারীরা লাল গরু পালনে উৎসাহী। গবেষণায় দেখা গেছে ছয় সাত বছর বয়সে পঞ্চমবার বিয়ানোর পর দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়। দুগ্ধ দান কাল গড়ে ২৬০ দিন। এক বিয়ানোর পর ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি দুধ পাওয়া যায়। সাধারণ ব্যবস্থাপনায় এ জাতের গরু থেকে ভাল ফল পাওয়া যায়। এ প্রজাতির ষাড়ের মাংস নরম এবং কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় এবং মাঝারি আকারের হওয়ায় কোরবানির হাটে এদের চাহিদা ব্যাপক। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এদের পাওয়া যায়। লাল ষাড়ের ঘাড়ে মাঝারি আকারের মাংস পিন্প বা চোট থাকে।
যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে লাল গরুর (্আরসিসি) বিশুদ্ধতা হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। তবে আশার কথা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ লাইভস্টক রির্সাচ ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) ডিএলএস সহ কয়েকটি সংস্থা ও ব্যক্তি সংরক্ষণের জন্য এগিয়ে এসেছে। আশা করা যায়, এতে করে গণহারে সংকরায়ন থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশেরর পশু বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞগণ এই প্রজাতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার যথাযথ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বা যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারেন নি। বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে হলে আন্তর্জাতিক জার্নালে লেখা লেখি/প্রবন্ধ উপস্থাপন আবশ্যক। রেড ক্যাটেল চিটাগং বা লাল গরু দেশের একটি মূল্যবান জেনেটিক রিসোর্স। এর মান উন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কঠোর শ্রমের বিকল্প নেই। জাত বা প্রজাতি উন্নত করণের জন্য সাধারণত পশু প্রজননে দুটো পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। তার একটি হলো বাছাই (ঝবষবপঃরড়হ) অন্যটি সমাগম (গধঃরহং)। লাল গরুর জাত উন্নয়নে উন্মুক্ত নিউক্লিয়াস প্রজনন কর্মসূচি (ঙঢ়বহ হঁপষবঁং ঢ়ড়পবফরহম ংুংঃবস) গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে তার আগে লাল গরুর জাত রক্ষার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো ‘বাছাই’। বাছাই কার্য সঠিক ও উন্নত না হলে প্রজনন কর্মসূচি ও জাত রক্ষা সম্ভব নয়। একটি গাভী তার জীবন কালেল প্রতি দুগ্ধ দান সময়ে কী পরিমাণ দুগ্ধউৎপাদন করেছে তার উপর নির্ভর করে ‘বাছাই’ প্রক্রিয়া। পুরুষটি (ষাড়) দুগ্ধ উৎপাদন না করলেও ওই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জিন সে বহন করে। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পশু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চৎড়মবহম ঃবংঃরহম বা সন্তান পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাণী বাছাই পদ্ধতি বেশি কার্যকর পদ্ধতি।
পল্লী সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগী সংস্থা আইডিএফ (ওউঋ) চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় ১৯৯০ সালে একটি প্রদর্শনী খামার করেছে। এছাড়া পিকেএসএফ এর সহায়তায় বেসরকারী সংস্থা মমতার ও একটি প্রকল্প সহ আরও কিছু বেসরকারি সংস্থা কাজ করছে বলে জানা যায়। লাল গরুর উচ্চ মাত্রার সংকরীকরণ বন্ধ করার জন্য প্রতি বছর বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে লাল গরুর প্রদর্শনী মেলা করে কৃষক পর্যায়ে লাল গরু পালনে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে পরিবেশগত উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। সর্বোপরি উন্মুক্ত নিউক্লিয়াস প্রজনন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে চট্টগ্রামের লাল গরুকে (আরসিসি) বাণিজ্যিকভাবে ব্রান্ডেভ বিফ হিসাবে বাজারজাতকরণসহ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করা সম্ভব। তবে সর্তক থাকতে হবে কৃত্রিম উপায়ে মোটা তাজা করণে যাতে পশুর স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যমান হারিয়ে না ফেলে। এ জন্য কৃষক, খামারি ও গৃহস্থদের হাতে কলমে স্বাস্থ্যবান্ধব খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভ‚ইয়া দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চিটাগং রেড ক্যাটেল বা লাল গরু নিয়ে গবেষণা করছেন বলে জানা যায়। আমরা আশা করবো বাংলাদেশের একটি নিজস্ব জিন তথা চট্টগ্রামের গৌরব লাল গরু রক্ষায় আরো গবেষক ও বিজ্ঞানীগণ এগিয়ে আসবেন। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সমূহ আরও জোরদার ভ‚মিকা পালন করবেন। লাল গরু তথা অষ্টমুখী গরুর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদেশি গরুর সাথে পাল্লা দিয়ে পালিত হচ্ছে লাল গরু। জানা যায়, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সীতাকুÐ, ফেনি, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ধামরাই, মুন্সিগঞ্জসহ অন্যান্য স্থানে। আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক চট্টগ্রামের ইতিহ্যের লাল গরু অষ্টমুখী।
লেখক: কবি, নিসর্গ ও ব্যাংক নির্বাহী (অব.)