চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়াতে ফের আন্দোলন

28

চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে ফের মাঠে নেমেছেন চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে তারা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১টার পরও জনা পঞ্চাশেক আন্দোলনকারীকে সেখানে দেখা যায়।
পরিষদের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবি আদায়ে এই ব্যানারে একত্রিত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা আজ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। দাবি আদায় না হলে এই তিন দিন আমাদের টানা অবস্থান কর্মসূচি চলবে। খবর বিডিনিউজের
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা এ আন্দোলনে যোগ দিতে আসছেন দাবি করে ইমতিয়াজ বলেন, বিকালে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বসে আরও বড় কোনো কর্মসূচিতে যাওয়া যায় কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক দফা রাস্তায় নেমেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। দশম সংসদের সংসদীয় কমিটি তাদের দাবি পূরণের সুপারিশ করলেও সরকার তা গ্রহণ করেনি। দশম সংসদে সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত জুলাই মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে চাকরির ঢোকার বয়স না বাড়ানোর পক্ষে নিজের অবস্থান জানিয়ে বলেন, বর্তমান অবস্থায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পরও একজন চাকরি প্রার্থীর হাতে কয়েক বছর থাকে, ফলে আরও সময় বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই। ৩৫ বছরে পরীক্ষা দিলে, এরপর ট্রেনিং শেষ হতে তো আরও ২ বছর লাগবে। তাহলে ৩৭ গেল। ৩৭ এ চাকরিতে ঢুকলে.. ২৫ বছর না হলে কিন্তু ফুল পেনশনটা পাবে না।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই সেশনজট না থাকার যুক্তি দিচ্ছেন। কিন্তু যারা আগে সেশনজটের শিকার হয়েছেন, তারা তাদের হারিয়ে যাওয়া বছরগুলো ফেরত চান।
ইমতিয়াজ বলেন, এ আন্দোলন ২০১২ সাল থেকে চলছে। একাধিকবার বিভিন্ন মহল থেকে বয়স বাড়ানোর কথা বলা হলেও তা এখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। অনেকেই বলেছিলেন নির্বাচনের পরে বয়সসীমা বাড়বে। এ রকম আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা আর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।