চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ধরতে মাটিরাঙ্গায় বিশেষ অভিযান

61

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মধুমাসকে সামনে রেখে ফলের মৌসুমে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা। স¤প্রতি ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কার’সহ সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মৌসুমী ফল আম, লিচু, কাঁঠাল ও আনরসের প্রতিটি বাগানে নতুন হারে ধার্য্য করা হয় বার্ষিক চাঁদা।
জানা যায়, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এসব চাঁদা আদায় করে ইউপিডিএফের পক্ষে কালেক্টর এলিন চাকমা ও জেএসএস সংস্কারের পক্ষে ধিমান চাকমা। এছাড়ও ইউপিডিএফ সংস্কার এবং জেএসএস সহ বিভিন্ন সংগঠন নামে বেনামে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে আদায় করছে চাঁদা।
স¤প্রতি মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাগান চাষীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ অভিযানে নামে ৩০ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা। গত শুক্রবার দুপুরে ইউপিডিএফরের চাঁদা কালেক্টর এলিন চাকমার নেতৃত্বে অস্ত্রসহ বেশ কজন সন্ত্রাসী উপজেলার নতুনপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা জোনের একটি টহল দল ক্যাপ্টেন রিয়াদের নেতৃতে ঘন্টাব্যাপী ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেরে সন্ত্রাসীরা প্রথমে একটি বিয়ে বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকেও পালাতে বাধ্য হয়।
অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় নেয়া বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়। কিন্তু ততক্ষণে সন্ত্রাসীরা স্থানটি ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে টহল দলটি বিয়ের অনুষ্ঠান এলাকা ঘুরে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে জোন সদরে ফিরে আসে।
এদিকে বিশেষ অভিযানে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়া হলেও তাদের মদদদাতারা ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে। অভিযোগ তুলে বিয়ে বাড়িতে নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি নিয়ে।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা জোনের স্টাফ অফিসার মেজর আরেফিন মো. শাকিল জানান, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অতীতের মত অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বা অপপ্রচার চালিয়ে লাভ হবেনা। মাটিরাঙ্গা জোন এলাকায় সন্ত্রাসীদের কাউকে ঢুকতে দেয়া হবেনা।