চসিক ভোট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা

49

করোনার প্রকোপের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন স্থগিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রার্থীরাও রয়েছেন উদ্বেগ-উকণ্ঠায়। তরে অনেকের ধারণা, ২৯ মার্চের অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপিসহ একাধিক প্রার্থী নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ মার্চ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য রয়েছে। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। দেশেও ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারাও গেছেন একজন। আক্রান্তদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শুরুতে জোর প্রচারণা চললেও বর্তমানে তা সীমিত হয়ে গেছে। ভয়ে লোকজন জড়ো হচ্ছে না। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণায় তেমন একটা বের হচ্ছেন না। ভোটারদের মধ্যেও আগ্রহ নেই।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, মানুষের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবার আগে। চট্টগ্রাম অতি ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা করোনাকে মহামারি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এর ভয়াবহতা অনেক বেশি। তাই নির্বাচন স্থগিত করা জরুরি।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নির্বাচন করা না করা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মেনে নিব।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এমএ মতিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. জান্নাতুল ইসলামও নির্বাচন স্থগিত করার পক্ষে মত দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিটি নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ শনিবার নির্বাচন কমিশন বৈঠক করবে। বেলা ১১ টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
করোনার প্রভাবে নগরী এক প্রকার ফাঁকা হয়ে গেছে। ২৯ মার্চের আগে তিন দিন টানা সরকারি ছুটি। ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার মহান স্বাধীনতা দিবসের সরকারি ছুটি। এরপর দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাকি সরকারি ছুটি। ভোটের দিন সাধারণ ছুটি। ফলে ভোটার সংখ্যা কত শহরে থাকে, তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা দরকার বলে প্রার্থীরা মত দিয়েছেন।
সব মিলিয়ে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।