চসিক নির্বাচনে নীতি ও আদর্শের জয় হবে

52

ঢাকার মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। গতকাল হোটেল পেনিনসুলায় সাক্ষাৎকারে পূর্বদেশকে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি চট্টগ্রামে আসেন। চসিক নির্বাচনে নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করতেই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ডাকে তিনি চট্টগ্রামে আসেন বলে জানান।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ঢাকায় দুই মেয়রকে জেতাতে সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। চট্টগ্রামেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বর্তমান মেয়র নাছির সাহেবসহ যারা মনোনয়ন চেয়েছেন দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে সবাই একসাথে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। চসিক নির্বাচনে আমাদের বিজয় হবে নীতির, আদর্শের। এ আদর্শ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিজয়। এ প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ। চট্টগ্রামের নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী যে যেখানে আছে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিমের পক্ষে কাজ করবে এবং বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, সময় এখনো আছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারে। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল সংগঠন। সাগরের মতো ঢেউ অনেক। এই ঢেউয়ের মাঝেই আমাদের জয়ী হতে হবে। আওয়ামী লীগ হেরে যাওয়া পার্টি না। আওয়ামী লীগ হেরে যায় না। জয়ী হয়। কাউন্সিলর পদে যারা আমাদের অফিসিয়াল প্রার্থী, এর বাইরে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। যদি কেউ হয় সেটি বাস্তবিক না। বাস্তবিক কেউ প্রার্থী হলে তখন দেখা যাবে।
তিনি বলেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নাই। যারা রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী, যারা শেখ হাসিনার নির্দেশের প্রতি আস্থাশীল তারা বিদ্রোহী হতে পারে না। আমি মনে করি কেউ হবেই না। যাদের আদর্শের প্রতি কমিটমেন্ট লুস তারাই প্রার্থী হতে পারেন। যারা আদর্শের প্রতি শতভাগ কমিটেড তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতিই আস্থা রাখবেন। বিদ্রোহ মানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নিদের্শকে অমান্য করা। আওয়ামী লীগের কোন প্রকৃত কর্মী এটা করতে পারে না।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, উত্তরের সম্মেলন হয়ে গেছে। দক্ষিণ ও মহানগরেও হবে। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। রাঙামাটিতেও সম্মেলন হবে। দক্ষিণের সব উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোরও সম্মেলন করা হবে। মার্চ মাসের পরেই সব সম্মেলন হবে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সাথে আলোচনা করেই সব প্রক্রিয়া শুরু করবেন জানিয়ে এই নেতা বলেন, মোশাররফ ভাইয়ের দায়িত্ব শুধু উত্তর না, বাংলাদেশ। মোশাররফ ভাই উত্তর, দক্ষিণ, নগরসহ সারা বাংলাদেশ দেখবেন। আমি চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। মোশাররফ ভাই আমাদের লিডার। আমরা আলোচনা করে চট্টগ্রামে যেসব সমস্যা আছে সব নেত্রীকে জানাবো। চট্টগ্রামের বিষয়ে মোশাররফ ভাই গাইডলাইন দিবেন। সব সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হবে। দক্ষিণের জেলা-উপজেলায় সম্মেলন হবে।
প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের চারজন আইকনের মধ্যে তিনজন নেই। একজন আছেন। বাকি তিনজনের দায়িত্বও পালন করবেন মোশাররফ ভাই। মোশাররফ ভাই উত্তরে ভূমিকা রাখবেন তা শুধু না, দক্ষিণ ও নগরেও রাখবেন। নেত্রীর খুবই ঘনিষ্টজন মোশাররফ ভাই। আমি কালকে নেত্রীকে বলেছি। আমি চট্টগ্রাম যাচ্ছি। মোশাররফ ভাই ডেকেছেন।