চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু

60

নগরীর দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলনের মাধ্যমে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ক্রাস প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মাসব্যাপি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আসন্ন বর্ষার আগে জরুরি ভিত্তিতে ৪১টি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা থেকে মাটি-আবর্জনা পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি আগামি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। চসিকের নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এতে ২৫০ জন সেবক নিয়োজিত রয়েছে। সোমবার নগরীর ৫টি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা থেকে ২১৫ টন মাটি উত্তোলন করা হয়। ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে দেওয়ান বাজার থেকে ৩০ টন, আন্দরকিল্লা থেকে ৪৫ টন, জামাল খান থেকে ৩০ টন, দক্ষিণ পতেঙ্গা থেকে ৭৫ টন, উত্তর পতেঙ্গা থেকে ৩৫ টন মাটি উত্তোলন করা হয়। আগামি ১৪ মার্চ পর্যন্ত এ ওয়ার্ডগুলোতে এ মাটি উত্তোলন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কর্মসুচির উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন, এবছরও চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে না। এই ব্যাপারে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি। জরুরি ভিত্তিতে চসিকের উদ্যোগে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলনের কথা উল্লেখ মেয়র বলেন, কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ‘তুমি ড্রেন করো’। তাই আমরা নগরীতে ড্রেন করছি। আগের যে ড্রেনগুলো ছিল, সেই ড্রেনগুলো অপর্যাপ্ত ও অপরিপূর্ণ। তাই চসিক নগরীতে পর্যাপ্ত ড্রেন নির্মাণ করছে। নগরবাসীর বাসা-বাড়ি থেকে ড্রেনে পানি আসবে, ড্রেন থেকে খালে। এরপর খাল হয়ে পানি নদীতে যাবে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকলে পানি যাবে কোথায়? নগরীতে জলবদ্ধতা সমস্যা থেকেই যাবে। এ থেকে উত্তোরণের জন্য শহরে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রতিদিন আমি নগরীর কোনো না কোনো এলাকা পরিদর্শন করছি। এ পরিদর্শনে আমি দেখেছি, নগরের বেশিরভাগ নালা ভরাট হয়ে আছে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর আগে জোয়ারের পানি ধরে রাখার জন্য আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করে তারা। এখনো পর্যন্ত এগুলো থেকে আশানুরূপ কাজ হয়নি। সিটি মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এই সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠকের আয়োজন করবে চসিক।