চলে গেলেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ খসরু

41

না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের সুস্থ চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মুহম্মদ খসরু। মঙ্গলবার রাজধানীর ইব্রাহিক কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতা অঞ্জন জাহিদুর রহিম বলেন, ২১ জানুয়ারি তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের জেনারের বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এতদিন আইসিইউতেই ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওপারে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
অঞ্জন রহিম আরও বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় জনসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য তার মরদেহ অপরাজেয় বাংলার সামনে রাখা হবে। সেখানে নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে। সেখানে দুপর ১টায় নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি কেরানীগঞ্জে রোহিতপুরে। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিলেন মুহম্মদ খসরু। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরের বাড়ি থেকে ঢাকায় এনে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। মুহম্মদ খসরু বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পত্রিকা ‘ধ্রুপদী’ ও ‘চলচ্চিত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা রাজেন তরফদারের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘পালঙ্ক’র সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ৭০’র দশকে উপমহাদেশের খ্যাতনাম চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ঋত্বিক ঘটকের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলেন মুহম্মদ খসরু। আর সেই সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয়েছে ধ্রুপদী পত্রিকায়। পরে এই সাক্ষাৎকারটি উপমহাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় পুনর্মুদ্রণ হয়।