চবি ছাত্রীকে হেনস্তা, গাড়িচালক আটক

59

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে এক বাসচালককে আটক করেছেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযুক্ত ১ নং রুটের গণপরিবহনের চালক। গতকাল সকালে তাকে আটক করে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজুরুল হক।
আটক চালকের নাম মো. আব্বাস। তার বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানুদ্দীন উপজেলার মূলাপত্তন গ্রামে।
ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি গতকাল টিউশনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চকবাজার থেকে ১ নং রুটের চট্ট মেট্রো ছ ১১-০৫১৫ নাম্বার বাসে উঠেন। বাসে সিট না পাওয়ায় চালকের পাশের ইঞ্জিন বক্সের উপর বসেন।বসার পর থেকেই চালক তার সাথে অশালীন আচরণ শুরু করে। চালক কয়েকবার ইচ্ছাকৃতভাবে তার গায়ে হাত দেয়। তিনি প্রতিবাদ করে সামনে এগিয়ে বসলেও চালক তার গায়ে আবারও অবাঞ্ছিতভাবে হাত দেয়। ছাত্রীটি সেখান থেকে পাশের সিটে সরে বসলে চালক তার দিকে অশালীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাসতে থাকে। শুধু তাই নয়, এ ছাত্রী যে সিটে আগে বসেছিলেন চালক সেখানে হাত বুলাতে থাকে। এমন বর্ণনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রী বিআরটিএ চট্টগ্রাম এর ফেসবুক পেজ এ অভিযোগ করেন এবং এ ঘটনার যথাযথ প্রতিকার চান।
অভিযোগ পেয়ে গতকাল সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক অভিযান চালিয়ে বাস মালিকের সহায়তায় অভিযুক্ত চালককে আটক করেন।
আটকের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক হেনস্তার শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে বললে তিনি তার মা ও বড় ভাইকে নিয়ে সেখানে হাজির হন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত চালককে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করে নিয়মিত মামলা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে হেনস্তার শিকার ছাত্রীটির কাছ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে ঐ চালকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে কোর্টে চালান দেয়া হয়।
হেনস্তার শিকার ছাত্রী গণপরিবহনে হেনস্তার শিকার সব নারীকে চুপ না থেকে সরব হওয়ার আহব্বান জানান।
বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজুরুল হক পূর্বদেশকে বলেন, প্রতিনিয়ত অনেক নারী চালক-হেলপারদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। আমরা চট্টগ্রামের গণপরিবহনকে নারী ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে গণপরিবহনে কোনো নারী হেনস্তার শিকার হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।