চন্দ্রঘোনায় ভারত ফেরত লরি চালকসহ ৪ বাড়ি নজরদারিতে

36

রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনায় ভারত ফেরত এক লরি চালকের বাড়িসহ আশপাশের চারটি বসতবাড়ি নজরদারিতে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। নজরদারিতে রাখা লরি চালক অরুণ মল্লিক (৩৮) বাংলাদেশ-ভারত নেপালসহ সার্কভুক্ত দেশে মালামাল পরিবহণ করেন। সে চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা সংলগ্ন সুকুমার মল্লিকের ছেলে। গত ৩ এপ্রিল সেনাবাহিনী, পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গিয়ে তার সাথে কথা বলে এই লরি চালকের বাড়ি সহ আশপাশের ৪টি বাড়ির লোকজনকে শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে নজরদারিতে রেখেছেন।
সেনাবাহিনী তাদের বাড়ির সামনে ঘর থেকে বের না হতে নোটিশ জারি করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের ২জন চৌকিদার সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছেন যাতে সেখানে কেউ যাতায়াত করতে না পারে। আজ শনিবার তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাজিব পালিত। সন্ধিগ্ধ লরি চালকেরসহ আশপাশের চার বাড়ি নজরদারিতে রাখার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান। জানা যায়, সর্বশেষ ভারত সংলগ্ন নেপাল বর্ডার থেকে লরি চালিয়ে ঢাকায় ফেরেন অরুন মল্লিক। ঢাকা থেকে গত ২২ মার্চ এই লরি চালক শরীরে জ্বর নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনায় মিশন এলাকা সংলগ্ন বাড়িতেফেরেন।
বর্তমানেও তার শরীরে জ্বর, কাশি ও গলাব্যথা রয়েছে। শুক্রবারও তিনি চন্দ্রঘোনা দোভাষি বাজারে ডা. জেমস এর পরামর্শ নেন। তখন তার শরীরে ১০১ ডিগ্রী তাপমাত্রা ও সর্দি-কাশি ছিল। তাকে নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের লোকজন গিয়ে তার খোঁজ খবর নেন। লরি চালক অরুন মল্লিকের সাথে কথা বলা চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং জানান, তার শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষন থাকলেও তার গলায় আগে থেকে টনসিল ও মামসের সমস্যা থাকায় করোনা পরীক্ষা না করা পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা যাবেনা। অতি সতর্কতার জন্য তাদেরকে আপাতত নজরদারিতে রেখেছে প্রশাসন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, লরি চালকের বাড়ি নজরদারিতে রাখা হয়েছে, রকডাউন নয়। এবিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সবাইকে দায়িত্বশীল হবার অনুরোধ জানান তিনি।