চন্দনাইশ মহিলা কলেজ কর্নেল অলির বড় ভাইয়ের নামকরণ করায় একাডেমিক ভবনের নাম মুছে দিল ছাত্রলীগ

280

চন্দনাইশ উপজেলা সদরস্থ আমনতছফা-বদরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের নব-নির্মিত একাডেমিক ভবনে কর্ণেল অলির বড় ভাই আলি আহমদের নামে নামকরণ করায় নাম মুছে দিল ছাত্রলীগ। জানা যায়, বর্তমান সরকার কর্ণেল অলির প্রতিষ্ঠিত আমানতছফা-বদরুন্নেছা মহিলা কলেজে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ভবনের নাম কর্ণেল অলির বড় ভাই মরহুম আলি আহমদের নামানুসারে রাখায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ গত ৭ মার্চ আলি আহমদ নামটি কালি দিয়ে মুছে দেয়। নেতৃবৃন্দের দাবী বর্তমান সরকারের আমলে নির্মিত ভবনের নাম স্বাধীনতার পক্ষের কোন ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধার নামে না করায় তারা মুছে দিয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিপ্রা সিকদার বলেছেন, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে নামটি রাখা হয়েছিল।

রাঙ্গুনিয়ায় বঙ্গবন্ধুর
জন্মবাষির্কী পালনে
প্রস্তুতি সভা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালনে প্রস্তুতি সভা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে গত ১১ মার্চৃ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যথাযথ ভাবে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী পালনে বিভিন্ন সিদান্ত নেওয়া হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা, কৃষি অফিসার কারিমা আক্তার, প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, মৎস্য কমৃকর্তা স্বপন চন্দ্র দে, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সি, আসলাম খান, উত্তর জেলা রাঙ্গুনিয়া থানার এস.আই মো. ইসমাইল, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষযক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, ইাউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন, সমবায় কমৃকর্তা দিবাকর দাশ মান্না, প্রকল্প বাস্ত বায়ন কমৃকর্তা বাবুল কান্তি চাকমা, খাদ্য কর্মকর্তা আসাদ ভুঞা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি আবদুল মান্নান, সহকারী যুব উন্নয় কর্মকর্তা খায়রুল আলম, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ নাসির আব্বাস হোসাইন আফতাব।

চেয়ারম্যান প্রার্থী জব্বারের নির্বাচনী অফিস ও মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ

চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরীর নির্বাচনী অফিস ভাঙ্চুর করে দখল ও নির্বাচনী প্রচারের মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের নিকট। গত ১১ মার্চ রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)’র বরাবরে ছৈয়দাবাদ এলাকার নুরুল আমজাদ চৌধুরী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, গত ৯ মার্চ আবদুল জব্বার চৌধুরীর দোয়াত-কলমের একটি অফিস গাছবাড়ীয়া কলেজগেইট এলাকায় নির্মাণ করা হয়। কতিপয় লোকজন পরদিন ভোর ৪ টায় অফিস ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙ্চুর করে। পুনরায় সকালে নির্মাণ করার পর বিকাল ৩ টায় অফিসটি কর্মী শূন্য অবস্থায় পেয়ে ভাঙ্চুর করে। গত ১১ মার্চ সকালে অফিসটি দখল করে নেয়ায় থানায় অভিযোগ করেন বলে উল্লেখ করেন। এদিকে গত ১১ মার্চ সহাকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজার নিকট পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন জামিরজুরীর মৃত ফোরক আহমদের ছেলে মো. আলী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ মার্চ বিকাল ৩টায় অভিযোগকারী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরীর দোয়াত-কলম প্রতীকের মাইকে প্রচার করার সময় সাতবাড়ীয়া হাছনদন্ডী মাজির পাড়া এলাকায় পৌঁছলে ২ জনের নাম উল্লেখ করে তার মাইক ভাঙ্চুর ও মারধরের অভিযোগ এনে এ দরখাস্ত দায়ের করেন।এ ব্যপারে সহকারি রিটার্নিং অফিসার আ.ন.ম বদরুদ্দোজা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগে যাদের নাম দেয়া হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। চন্দনাইশ প্রতিনিধি

নাজিরহাট কলেজে স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের
ওরিয়েন্টেশন ক্লাস উদ্বোধন

মহান মুক্তিযুদ্ধের মহৎ চেতনার আলোয় স্নাত হয়ে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার ব্রত নিয়ে কলেজের শিক্ষাকার্যক্রমে যুক্ত হবার জন্য নবাগত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ এস. এম নুরুল হুদা। গতকাল নাজিরহাট কলেজে আয়োজিত ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্য়ের ১ম বর্ষ স্নাতক (পাস) শ্রেণির নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ এস. এম নুরুল হুদা। অধ্যাপক তপন কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক অনোমদর্শী বড়ুয়া, অধ্যাপক মো. কে. এম. মহিউদ্দিন, অধ্যাপক মো. আখতার আলম, অধ্যাপক মো. শাহাবুদ্দীন, অধ্যাপক লিটন ভট্টাচার্য্য এবং অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মো. হাবীব এবং কাজী জেবুন্নেসা তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখে। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন অধ্যাপক শাহ জামান সরকার ও অধ্যাপক মোসফেকা চৌধুরী পুরো প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক দোলন কান্তি ভট্টাচার্য্য ও লাইব্রেরিয়ান ফরিদ আহমদ। বিজ্ঞপ্তি