চন্দনাইশ ধোপাছড়িতে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় আসামি আটক

53

চন্দনাইশ উপজেলার দূর্ঘম পাহাড়ী এলাকায় ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করার অপরাধে ১ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ৯ বছরের এক কিশোরীকে রাস্তায় একা পেয়ে পূর্ব ধোপাছড়ির শঙ্খরকুল এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে শাহ আলম (২২) জোরপূর্বক পাশ্ববর্তী পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার সময় কিশোরীর শৌর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে শাহ আলম পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে বৈঠক হয় বলে জানা যায়। বৈঠকে ভিকটিম অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ভিকটিম প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে হওয়ার অঙ্গিকারনামা দেয় বলে জানিয়েছেন ভিকটিমের পিতা আয়ুব আলী। পরদিন ২৬ এপ্রিল স্থানীয় চেয়ারম্যান পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পুলিশের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবার থেকে স্ট্যাম্প উদ্ধারের চাপ সৃষ্টি করে। ধোপাছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মো. গোলাম মোস্তফা বলেছেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম তদন্ত কেন্দ্রে এসে একজন লোক থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্প নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে মহিলা ধর্ষণের বিষয়টি গোপন করেন। ফলে স্ট্যাম্পটি থানায় জমা দেয়ার জন্য ভিকটিমের পিতা আয়ুব আলীকে সংবাদ দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলার ঘটনা জানার পর আসামীকে আটক করা হয়। স্ট্যাম্পটি মামলার তদন্তের স্বার্থে জমা দিতে বলা হলে অদ্যবদি ভিকটিমের পরিবার জমা দেননি বলে তিনি জানান। এদিকে ভিকটিম চমেক হাসপাতালে ওয়ান স্টপে চিকিৎসাধীন থাকায় চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ থেকে গত ২৭ এপ্রিল চন্দনাইশ থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ সাতকানিয়া এলাকা থেকে গত ২৮ এপ্রিল শাহ আলমকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে ভিকটিমের পিতা আয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, শাহ আলমের কয়েকজন আত্মীয় স্বজন মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।