চন্দনাইশ উপজেলার স্থগিত ২ কেন্দ্রের নির্বাচন ১৩ জুন

69

চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নৌকার প্রার্থী এ.কে.এম নাজিম উদ্দিনের রীট আবেদন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে প্রক্রিয়াধীন থাকাবস্থায় স্থগিত ২টি কেন্দ্রের নির্বাচনের তারিখ ১৩ জুন ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। রীট শুনানী ১৬ জুন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। ফলে নির্বাচনের রায় যা-ই ঘটুক, উৎসুক জনগণ তাকিয়ে আছে রীটের রায়ের দিকে। আ.লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ.কে.এম নাজিম উদ্দিন গত ১৭ এপ্রিল চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের ২টি স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও মো. খাইরুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে রীট আবেদন দায়ের করেন। বিচারকদ্বয় উভয় পক্ষ এবং রাষ্ট্রপক্ষের শুনানীন্তে চন্দনাইশ উপজেলার স্থগিত ২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের ১দিন পূর্বে ১৬ এপ্রিল স্থগিত করে ২ সপ্তাহের জন্য সময় দিয়ে রুল জারি করেন। সে সাথে স্থগিত ২টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। স্থগিত আদেশ, স্থগিত চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল চেম্বার জজ আপিল বিভাগের বিচারপতি জিন্নাত আরা’র বেঞ্চে আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে আবেদন খারিজ করে দেন।
ফলে, গত ১৮ এপ্রিল স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী পুনরায় ভোট গ্রহণের স্থগিত আদেশ, স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানী শেষে স্থগিত ২টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের স্থগিত আদেশ, স্থগিত করে দেন। গত ২২ মে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৩ জুন ২টি স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন। বর্তমানে চন্দনাইশ উপজেলার ২টি স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ নিয়ে এলাকায় আ.লীগ সমর্থিত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। রীট আবেদন শুনানীর তারিখ ১৬ জুন, ভোট গ্রহণ ৩দিন পূর্বে ১৩ জুন। এখন উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চলছে ভোট গ্রহণ হলে ফলাফল কি হবে? নৌকা’র প্রার্থী জিতবে? নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতবে? স্থগিত ২টি কেন্দ্রের ভোটার ৪ হাজার ৪’শ ৯ জন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী থেকে ২ হাজার ৬’শ ৩৪ ভোটে এগিয়ে থাকায় কম চিন্তায় নেই নৌকার প্রার্থী এ.কে.এম নাজিম উদ্দিন।
একইভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী আ.লীগের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হতে না পারায় মামলা এবং ভোটের ফলাফল কোন দিকে গড়াবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তাও তার কম নয়। জানা যায়, গত ২৪ মার্চ চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর বরকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। গত ৯ এপ্রিল আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান এ ২টি কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা, পুলিশ, ২ প্রার্থী, অফিসার ইনচার্জ এর লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য গ্রহণ করেন।
পরদিন ১০ এপ্রিল ২টি কেন্দ্রে ১৭ এপ্রিল ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করায় এ.কে.এম নাজিম উদ্দীন একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। ফলে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ পর্যন্ত রীট আবেদনটি গড়ায়।