চন্দনাইশে সীমানা জটিলতায় ৮ বছর সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোট হচ্ছে না

121

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদকে পৌরসভা ঘোষণা করায় সীমানা জটিলতার কারণে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের জনসাধারণ ভোটাধিকার ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহমদুর রহমান ভেট্টা গত ২০০৩ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গত বছর ৯মে দোহাজারী পৌরসভার গেজেট প্রকাশিত হয়। দোহাজারী ইউনিয়নের সাথে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হাছনদন্ডী এলাকার ১টি ওয়ার্ড সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু সে ওয়ার্ডের সীমানা জটিলতার কারণে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঝুলে আছে ৩ বছর ধরে।
কবে নাগাদ সীমানা জটিলতা নিরসন হবে, তা কেউ জানে না। ফলে সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন হওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে নানা জনের নানা কথা শোনা যাচ্ছে। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমও অনেকটা থমকে আছে। কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাছাড়া, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হাছনদÐী গ্রামবাসী যেন পৌরসভার কাছে সিটমহলের বাসিন্দা।
তারা ইউনিয়ন বা পৌরসভা কোনোটিরই সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও ভোগান্তি বাড়ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নাম প্রকাশের অনিচ্ছা সত্তে¡ বলেন, ভোট ছাড়া দীর্ঘদিন কোনো জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করলে সেখানে সেবা পেতে কষ্ট হয়। কারণ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি থাকে। ভোট পাওয়ার আশায় তারা কিছুটা হলেও মানুষের সেবা করে। তাই সব বাধা-বিপত্তি ও সীমানা জটিলতা নিষ্পত্তি করে জনগণের স্বার্থে দ্রæত নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দোহাজারী বাসিন্দারা অভিযোগের সুরে বলেন, দোহাজারীকে গতবছর ৯ মে পৌরসভা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ ৮ মাস অতিবাহিত হলেও সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। পৌরসভা নির্বাচনের জন্য কোন রকম প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। তাছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সহায়ক সদস্য হিসেবে অদ্যবধি অনুমোদন নেয়া হয়নি, কি এক অজানা কারণে? পৌরসভা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিধি মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সহায়ক সদস্য অনুমোদন না হওয়ায় জবাবদিহিতাও থাকছে না।
সে সাথে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছে না দোহাজারী পৌরবাসী। জনবল সংকটের কারণে বিভিন্ন কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দোহাজারী পৌরসভা ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু কালক্ষেপণ ও বিনা নির্বাচনে পদে থাকতেই সীমানা জটিলতা, সহায়ক সদস্য অনুমোদন না নিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ৩ বছরের অধিক সময়। উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন ও দোহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামের কাঁচাপাকা সড়কগুলোর বেহাল দশা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পরিষদের কার্যক্রমসমূহ।