চন্দনাইশে বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আউশে আগ্রহ নেই কৃষকদের

47

চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আউশ উৎপাদনে আগ্রহ নেই কৃষকদের। মাঠের পর মাঠ ধানী জমি ফাঁকা পড়ে আছে। পরবর্তী আমন চাষাবাদেও এর প্রভাব পড়বে বলে কৃষকেরা মনে করছেন। কৃষকদের অভিযোগ চলতি আউশ মৌসমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদকৃত বিস্তির্ণ জমির বিশাল একটি অংশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বোরো ধান উৎপাদনের পর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষোভে ধানের চারা রোপণ থেকে বিরত রয়েছেন। সার, বীজ, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরী, ধান কাটা, মাড়াই থেকে শুরু করে বোরো ধান উৎপাদনে প্রতি বিঘায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে ধানের মণ ৬’শ থেকে সাড়ে ৬’শ টাকা খরচ হয়। বিক্রয়ের সময় বর্তমান বাজার মূল্যে সাড়ে ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। এভাবে ভতুর্কী দিয়ে কৃষকদের ক্ষতি গুনতে হচ্ছে বলে কৃষকেরা ধান উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছে। সরকারিভাবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৪০ টাকায় ক্রয় করলেও সব ধান খাদ্য বিভাগ ক্রয় করছে না। তাছাড়া ধান বিক্রয় করতে গেলে খাদ্য বিভাগের লোকজন বিভিন্ন রকম পদ্ধতির কথা বলে ধান ক্রয় করছে না বলে অভিযোগ করছেন কৃষকেরা। ফলে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা লাভবান হচ্ছে। ফলে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কৃষকেরা বলেন বিশেষ প্রয়োজনে যাদের খাবার দরকার তারা শুধুমাত্র খাবারের জন্য জমিতে চাষাবাদ করবেন। আগামী আমন মৌসুমে কৃষকদের মধ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, বোরোতে চন্দনাইশে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ হাজার ৫’শ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ বেশি হয়েছে। আউশে ২ হাজার ১’শ ২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় এবং পানি সেচের সু-ব্যবস্থা না থাকার কারনে এখনো চাষাবাদ শুরু হয়নি। কিছু কিছু জমিতে ধানের বীজ বপন হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সময়মত বৃষ্টির পানি পেলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। চন্দনাইশ প্রতিনিধি