চন্দনাইশে বরুমতি মেলা বিলুপ্তির পথে

45

আবহমান কাল থেকে বাঙালি উৎসব প্রিয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ মেলা বলতে বিনোদনের উৎসব বুঝে থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এ জনপদে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী বরুমতি মেলা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়াস্থ কলঘর এলাকায় বরুমতি মেলা বসে। চন্দনাইশ উপজেলার শতবর্ষের এ মেলা ফাল্গুনের শুরুতে বসে। এলাকার জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে এ মেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। কালের পরিক্রমায় এ মেলার জৌলুস দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে।
১৯০০ সালের গোড়ার দিকে চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া এলাকায় বরুমতি মেলার যাত্রা শুরু হয় বলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশব আচার্য জানান। বিশেষ করে সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে ইহা খুবই গুরুত্বপ‚র্ণ।
সনাতন ধর্মালম্বীরা মেলার পার্শ¦বর্তী বরুমতি খালে স্নান করার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন। বরুমতি খালের তীরবর্তী গাছবাড়ীয়া এলাকায় বসার কারণে বরুমতি মেলা নামকরণ করা হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে স্নান করতে আসেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। মেলার অন্যতম আকর্ষণ মানকচু। এখানকার মানকচু দেশ বিখ্যাত।
একেকটা মানকচু লম্বায় ১০-১৫ ফুট এবং ওজন প্রায় ১ মণ পর্যন্ত হয়। বর্তমানে মেলার আয়োজন পূর্বের মতো জাঁকজমক হয় না। আধুনিক বিভিন্ন বাণিজ্য ও শিল্পমেলার সাথে পাল্লা দিতে না পেরে ধীরে ধীরে এর আকর্ষণ হারিয়ে যেতে বসেছে বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন।