চন্দনাইশে চেয়ারম্যানসহ ৪ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী

66

চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর চন্দনাইশে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, বর্তমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪ মনোনয়ন প্রত্যাশী ইতোমধ্যে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদ আইনানুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৮০ দিনের মধ্যে এবং নতুন উপজেলা গঠনের ৩৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্য-বাধকতা রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার লক্ষ্যে ফেব্রæয়ারি মাসের প্রথমদিকে তফসিল ঘোষণার আগাম বার্তা দিয়েছেন।ফলে চন্দনাইশে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সদস্য, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি, বরকল ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, কাশেম-মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মোহাম্মদ কাশেম। তিন দশকের বেশি সময় পর বিগত দশম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ (আংশিক) সাতকানিয়া উপজেলার আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে আসে।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী দ্বিতীয়বারের মত এলডিপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর পৌর মেয়র নির্বাচনে জব্বার চৌধুরী এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্ণেল ড. অলির ভাতিজা মো. আয়ুব কুতুবীর পক্ষে কাজ না করার কারণে জব্বার চৌধুরীকে এলডিপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিছুদিন অপেক্ষা করার পর জব্বার চৌধুরী বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর হাত ধরে আ.লীগে যোগদান করেন। সে থেকে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী পাশে পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন। পরবর্তীতে কর্ণেল অলির হাত ধরে বিএনপি’র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি হন।
২০০৬ সালে কর্ণেল অলি এলডিপি গঠন করার পর তিনি এলডিপি’র রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পুনরায় নৌকা প্রতীক নিয়ে আগামী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌঁঝাপ শুরু করেন। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সদস্য, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি, বরকলের তিনবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও একবার ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, যিনি চন্দনাইশ উপজেলা আ.লীগের ৪ বছর সাধারণ সম্পাদক, ৫ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তাছাড়া ১৯৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিকভাবে ৩১টি হয়রানিমূলক মামলায় সাড়ে ৪ বছরের অধিক জেল কেটেছেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক হারলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, কাশেম-মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মহাজয়কে কাজে লাগিয়ে নৌকার প্রার্থী হতে চায় চন্দনাইশের ৪ হেভিওয়েট আ.লীগের প্রার্থী। নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে এ সকল নেতা ছাড়াও আরো কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।
এদের মধ্যে কেউ কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। তাছাড়া অনেকে স্থানীয় আ.লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সাথে সদ্ভাব রাখছেন। যাতে মনোনয়নের প্রাথমিক কাজ সহজ হয়। এক্ষেত্রে সকলের লক্ষ্য একটাই নৌকার মাঝি হওয়া।