চন্দনাইশে গ্রামে গ্রামে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা

81

চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকা পূর্ব ছৈয়দাবাদ, ধোপাছড়ি, দোহাজারী সদরসহ গ্রামে গ্রামে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা। সে সাথে বিভিন্ন অপরাধজনক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে তারা। বিভিন্ন উপায়ে ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে বাস্তচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। তাদের কেউ সাগর পাড়ি দিয়ে মালেশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছে। আবার কেউ বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে তাদের সাথে মিশে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা মানবিক সহায়তা পেলেও অনেকে মনে করছে সহসা তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন হবে না। তাই ক্যাম্পে বসবাসের একঘেয়েমি জীবন থেকে বের হয়ে স্বাধীনভাবে চলতে চাই। এমন চিন্তাই অনেকে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এ সকল রোহিঙ্গারা অনেকে উন্নত জীবনের জন্য দেশের বাইরে যেতে চাই। আত্মীয়-স্বজন অনেকে বিদেশে থাকার কারণে সেসব দেশে গিয়ে তাদের সাথে মিলন ঘটাতে বিদেশ পাড়ি দিতে অনেকে তৎপর। এ অবস্থা অব্যহত থাকলে নতুন ধরনের সংকট সৃষ্টির আশংকা করছেন বিজ্ঞমহল। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা অনেকেই চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি, দোহাজারী সদর, রায় জোয়ারা, পূর্ব ছৈয়দাবাদ পাহাড়ি এলকাসহ বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার লোকজনদের সাথে মিশে গিয়ে বসবাস শুরু করেছে অনেকে। এ সকল রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময় অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক পাচার, সেবন, বিক্রিসহ চুরি ডাকাতি, হত্যা, মারামারির ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। গত ৯ জুন ধোপাছড়ি এলাকায় ১ জন রোহিঙ্গা রহিম উল্লাহ অপর এক রোহিঙ্গার ৯ বছরের শিশুকে অপহরণ করে পাহাড়ের চুড়ায় নিয়ে টাকা জন্য হত্যা করে। এ সকল রোহিঙ্গারা অনেকে সমুদ্র পথে মালেশিয়া যাওয়ার সময় বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ পৃথক ২১ টি অভিযানে গত কয়েকমাসে ৬’শ রোহিঙ্গাকে আটক করে। ৩০ মে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে মালেশিয়া যাওয়ার পথে কোস্ট গার্ড ২ দালালসহ ৫৮ জনকে আটক করে। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিশু ও রয়েছে। একইভাবে ৩২ দালালকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোহিঙ্গারা স্থানীয় ভাষা রপ্ত করে, স্থানীয়দের মত ড্রেস পড়ে। আচার-আচরন স্থানীয়দের মত শিখে নেয়। এর পর হজ পালন ও চিকিৎসার কথা বলে পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পছন্দের প্রথম গন্তব্যস্থল মালেশিয়া। রোহিঙ্গা মহিলারা মনে করেন মালেশিয়া যেতে পারলে তাদের ভাল বিয়ে হবে। এ ধারণা দিয়েছে মানব প্রচারকারী সেন্ডিকেট। ফলে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্্র পথে মালেশিয়া যেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গার যেন ক্যাম্প থেকে বের হতে না পারে এ ব্যাপারে কঠোরভাবে তদারকির দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞমহল।