চন্দনাইশে গাছে গাছে আগাম আমের মুকুল

113

চন্দনাইশের আম গাছগুলোতে এবার আগাম মুকুল দেখা যাচ্ছে। সাধারণত মাঘের মাঝামাঝিতে আমের মুকুল দেখা যায়। এবার পৌষের শেষের দিক থেকেই গাছে গাছে আমের মুকুল দেখা যাচ্ছে। উপজেলার পৌরসভা, হাশিমপুর, দোহাজারী, ধোপাছড়ি, বৈলতলী, বরমা এলাকায় অনেক গাছেই আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। সোনারাঙা সে মুকুলের পরিমাণ কম হলেও এর সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই গাছগুলো আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। এদিকে মুকুল আসার আগে থেকে বাগান পরিচর্যা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। উপজেলার পাহাড়ি এলাকার বাগান মালিকেরা জানান, পৌষের মাঝামাঝিতেই গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝছেন এবার আগাম আমের মৌসুম শুরু হয়েছে। আগাম মুকুল দেখে আম চাষিরা অনেকে খুশি হলেও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, শীত বিদায় নেওয়ার আগেই আমের মুকুল আসা ভালো নয়। এখন ঘন কুয়াশা পড়লে আগে-ভাগে আসা মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা ফলনেও প্রভাব ফেলবে। চন্দনাইশ ছৈয়দাবাদের আমচাষি মো. কমরুদ্দিন জানান, তিনি আম গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শেষ করেছেন। মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। প্রায় গাছেই আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। তবে গুটি ও লখনা জাতই বেশি। তিনি আশা করছেন এবার আমের ফলন ভালো হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, চন্দনাইশে প্রতি বছরই কিছু আম গাছে আগাম মুকুল আসে, এবারও এসেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যাবে। তবে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সে সব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে।