চন্দনাইশে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ঢল

56

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ঈদ মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়ছে। সাধারণ জনগণ তাদের পছন্দের কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঈদ মার্কেট লোতে দিন-রাত সমান তালে বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি শাড়ি ও অন্যান্য কাপড়। অবাধে চলছে প্রচুর বেচাকেনা। প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের ঢল।
সাধারণ জনগণ তাদের পছন্দের কেনাকাটার জন্য এ মার্কেট থেকে ঐ মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যে যার সাধ্যমত তার পছন্দের কাপড়টি ক্রয় করার জন্য মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকেই স্বপরিবারে আবার কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে, কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে মার্কেট করতে দেখা যাচ্ছে। তবে এ বছর রাস্তার পাশে ভাসমান দোকানের সংখ্যা খুবই কম। কারণ হিসেবে জানা যায়, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় কাপড়ের দাম দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। ফলে রাস্তার পাশের ভাসমান দোকানের ব্যবসায়ীরা অনেকটা মার খেয়েছে। বিশেষ করে রমজানের প্রথম দিক থেকে পক্ষকালব্যাপী বৃষ্টির কারণে ভাসমান দোকানীরা বসতে পারেনি। সে সময় ঈদ মার্কেটগুলোতে বেচাকেনাও কম হয়েছে। ফলে যত ঈদ ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে চন্দনাইশের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে।
এ বছর বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য চন্দনাইশের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে তেমন আলোকসজ্জা করা হয়নি। তবে কেউ কেউ নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে যৎসামান্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রেখেছেন। এ বছর চন্দনাইশের কোন মার্কেটে লটারির ব্যবস্থাও করা হয়নি। শুধুমাত্র ক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মার্কেট সূত্রে জানা গেছে। চন্দনাইশের সবকটি মার্কেটে ঈদ বাজার বেশ জমে উঠেছে। ইতিমধ্যে মার্কেটের সব দোকানগুলোতে বিভিন্ন কাপড় দিয়ে দৃষ্টিনন্দন সাজে সাজিয়েছে। প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যণীয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ঈদের বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য। রমজানের শেষপ্রান্তে এসে সবাই ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন দোকানীরা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। পুরো রাত অবধি চলে কেনাকাটা। অন্যান্য বছরের তুলনায় কাপড়ের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় ক্রেতারা অর্থ সংকটে পড়েছেন অনেকেই। এ বছর পুরুষের চেয়ে মেয়েদের কাপড়ের আমদানি বেশি বলে জানালেন একজন ব্যবসায়ী। ঈদ বাজারে তৈরি পোশাক লুঙ্গি, শার্ট, প্যান্ট, কসমেটিকস ইত্যাদি বিক্রি হলেও কিছুটা বেকায়দায় আছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তারপরও ব্যবসার সুনাম রক্ষার কারণে দোকান খোলা রাখছেন তারাও।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত দোকান খোলা থাকছে। ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। ঈদকে সামনে রেখে মুদির দোকানিরাও সেজেছে অন্যভাবে। তারাও গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখছে সেমাই, চিনি, ছোলা ইত্যাদি বিক্রির জন্য। দোকানিদের মধ্যে কয়েকজন বললেন, এবারের ঈদ বাজারে শাড়ির মধ্যে নেট কাথান, জামদানি, লেহেঙ্গা, মেয়েদের জন্য ফ্রক, থ্রি-পিছের মধ্যে নেট কাথান, টিসু কাথান, চারুলতা, জলপরী বেশি দাম হলেও ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে প্রতিনিয়ত। চন্দনাইশের দোহাজারীতে হাজারী শপিং কমপ্লেক্স, হাজারী টাওয়ার, খান প্লাজা, সামশুদ্দীন সুপার মার্কেট, নিউ খান প্লাজা, গাছবাড়িয়াতে ছিদ্দিক বাছুর শপিং কমপ্লেক্স, গণি সুপার মার্কেট, প্রফেসর মার্কেট, চৌধুরী মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট এখন ক্রেতাদের ভিড়। ব্যবসায়ীরা বললেন, বেচাকেনাও ভাল হচ্ছে। সব মিলিয়ে চন্দনাইশে ঈদ বাজার জমে উঠেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের পছন্দের কাপড়টি তুলে দিতে পারবেন কিনা ব্যবসায়ীরা এ চিন্তায় মগ্ন রয়েছেন অনেকে।