চন্দনাইশে অভিভাবকদের ছেলে ধরা গুজবে কান না দেয়ার আহবান

67

চন্দনাইশ উপজেলা সদরস্থ একমাত্র বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ফাতেমা জিন্নাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রধান শিক্ষক মো. ওসমান আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহবুবুল আলম আকন্দ, পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষানুরাগী সদস্য, এডিশনাল পিপি এড. মো. দেলোয়ার হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পরিষদের সদস্য মহফুজ মিয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক কুন্তল বড়ুয়ার, শিক্ষক পাপড়ি চৌধুরী, মাওলানা মোজাহেরুল ইসলাম, সালমা হোসেন শাহিন, তাহমিনা বেগম, টিটু রাণী দে, শ্যামল ভট্টচার্য, বাপ্পী শীল, বিত্ত বড়ুয়া, বিলাস বড়ুয়া, রূপন কান্তি দে, রাখাল চন্দ্র দে, নাঈমা তাহের, আসমা তাহের। শিক্ষার্থী রিনা আকতার, লামিরা হক অভিভাবক সদস্য মো. ইদ্রীস, রত্না শীল, সুজাত চাকমা প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে পাঠানোর মাধ্যমে শিক্ষার মান এবং শিক্ষার্থীদের জীবন গঠনে অভিভাবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ছেলে ধরা গুজবে কান না দিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান। পদ্মা সেতুতে মাথা দরকার বলে যে কুসংস্কার ও অপপ্রচারে জড়িয়ে নিজেকে অপরাধী না করার আহবান জানান। যারা এ ধরনের অপপ্রচার করেছে তাদের অনেককে আটক করা হয়েছে। এরা দেশের উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করতে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়েকে যেন বিয়ে দিয়ে বাল্য বিয়ের শিকার না করে। এ ক্ষেত্রে বর, কনের অভিভাবক, ঘটক, কাজীর বিরুদ্ধে আইনের সাজার বিধান রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে জীবন গঠনের জন্য দামী মোবাইল ফোন বা ট্যাব ব্যবহার না করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।