চন্দনাইশ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীর স্বজন থেকে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের সময় কোতোয়ালীর মোড় থেকে ২ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ বাদামতল হাজী এম এ মালেক শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী, চন্দনাইশ মোহাম্মদপুরের মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (২৮) এর সাথে ব্যবসায়ী কেনা-বেচার কারণে পরিচয় হয় সাতকানিয়া বাজালিয়ার মৃত আবদুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এর। সে সুবাদে শহিদুল ইসলাম আমিনুল ইসলামের সাথে ইটের ব্যবসার কথা বলে ৭-১০ মে পর্যন্ত ১০ টি ইটের চালান নেয়। প্রতিটি চালানে ১৬ হাজার ৮শ টাকার মধ্যে বেশ কিছু টাকা বিকাশে লেনদেন করেন। গত ১২ মে চালানের বকেয়া টাকা দেয়ার কথা বলে মাইক্রোযোগে আমিনুল ইসলামকে কেরানীহাট যাওয়ার জন্য গাড়িতে তুলেন। কেরানীহাট অতিক্রম করে পাহাড়ের দিকে গাড়ি যেতে দেখলে আমিনুল চিৎকার করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে হাত-পা বেধে বাজালিয়ার হলুদিয়া পাহাড়ে নিয়ে যায়। পাহাড়ে আমিনুলকে আটক রেখে তার নিকট থাকা বিকাশের ৩ টি মোবাইল থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, নগদ ১৫ হাজার টাকা, ৩টি মোবাইল সেটসহ ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের দাবিকৃত ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে বাকি ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা আদায়ের জন্য আমিনুলের ভাইকে মোবাইলে যোগাযোগ করে অপর ৩ অপহরনকারী গত ১৩ মে সন্ধ্যায় কোতোয়ালীর মোড়ে অবস্থান করে। চন্দনাইশ থানা পুলিশ কোতোয়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় মুক্তিপণ আদায়ের সময় ২ অপহরনকারী ফিরিঙ্গাবাজার আবদুর রহমান দোভাষী বাড়ির মৃত আবদুল বারেকের ছেলে মো. আবদুল আজিজ (৪২) মৃত ইয়ার মো. ছেলে মো. ইমতিয়াজ উদ্দীন (৪২) কে আটক করলেও অপর ১ জন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম আমিনুলকে অপহরনকারীরা মারধর করে পাহাড়ের পাদদেশে ফেলে পালিয়ে যায়। আমিনুল মোবাইলে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে বাড়িতে আসে। এ ব্যাপারে গত ১৩ মে রাতে আমিনুল বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানার বাজালিয়া মালিয়াবাদের মৃত আবদুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০), মো. জালাল সিকদারের ছেলে মো. রাহাত আলী (৪৫), নগরীর ফিরিঙ্গাবাজার দোভাষী গলির মৃত আবদুল বারেকের ছেলে মো. আবদুল আজিজ (৪২), মৃত ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে ইমতিয়াজ উদ্দীন (৪২) কে আসামি করে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে গত ১৪ মে আদালতে প্রেরণ করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী।