চন্দনাইশে অটোরিক্সা বাঁধায় পুলিশের উপর হামলা

23

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাকালে একটি অটোরিক্সা আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাইওয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সূত্রে ধরে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। সূত্রে জানা যায় গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিএনজি চালিত ১টি অটোরিক্সা রওশনহাট এলাকা থেকে আটক করে। অটোরিক্সাটি নিয়ে আসার পথে খাঁনহাট ১টি শপিং মলের সামনে অটোরিক্সার মালিক ও চালকেরা হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল রেজাউল করিম আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাইওয়ে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশে এটি.এস.আই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে গত ১৯ অক্টোবর গভীর রাতে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলার সূত্রে ধরে চন্দনাইশ, হাশিমপুর নাছির মোহাম্মদপাড়ার বাঁচা মিয়ার ছেলে সেলিম উদ্দিন (২২), পটিয়া আমজুর হাট এলাকার মৃত শম্ভু মল্লিকের ছেলে সঞ্জয় মল্লিক (২৫) কে আটক করে। আটককৃতদের গত ২০ অক্টোবর আদলতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর থেকে হাইওয়ে পুলিশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৩ চাকা বিশিষ্ট সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ওসি আহসান হাবিব বলেছেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচলের সময়। রওশন হাট এলাকা থেকে ১টি অটোরিক্সা আটক করা হয়। অটোরিক্সাটি নিয়ে আসার সময় খাঁনহাট এলাকায় গাড়ির মালিক ও কায়েকজন চালক পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে কনস্টেবল রেজাউল করিম আহত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের এটিএস আই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দনাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।