চন্দনাইশের বাজারে মিলেছে আগাম বাঙ্গি

146

চন্দনাইশের বাজারে দেখা মিলেছে অসময়ে বাঙ্গি। কিন্তু এখনো প্রকৃতিতে শীতের আমেজ থাকায় দাম ও বিক্রি দুটিই কম বলে জানিয়েছেন হতাশ বাঙ্গি বিক্রেতারা। এদিকে চুক্তি অনুযায়ী আগাম জাতের বাঙ্গি চাষিদের কাছ থেকে কিনে আড়তে এনে রেখে লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য চন্দনাইশে খুব কম পরিমাণ জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে। গরম কালের বাঙ্গি এখনো বাজারে আসেনি, সেগুলো মিলবে আরো দেড় মাস পর গ্রীষ্মকাল শুরু হলে। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো আগাম জাতের বাঙ্গি। সরেজমিনে দেখা গেছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চন্দনাইশ সদর থানা বাজার, মৌলভী বাজার, ধামাইরহাট, বৈলতলী ইউনুচ মার্কেটসহ দোহাজারী বিভিন্ন বাজারে বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে। চন্দনাইশ উপজেলার বরমা সেনের চর এলাকা থেকে বাঙ্গি কিনে খুচরা বাজারে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারে প্রতিটি বাঙ্গি প্রকার ভেদে ৭০ থেকে ১’শ টাকা দর হাঁকা হচ্ছে এসব বাঙ্গির। গতকাল বুধবার ফেব্রূয়ারি সকালে চন্দনাইশ সদর বাজার থেকে বাঙ্গি কিনছিলেন সদর এলাকার বাসিন্দা রোকন। তিনি বলেন, বসন্তের শুরু হলেও এখনো শীত পড়ছে। এ সময় বাঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে এটাও ভাবতে অবাক লাগছে। তবে ছেলে-মেয়েরা বাঙ্গি খুব পছন্দ করে বলে কিনলেন বলে জানান। বিক্রেতা রফিক বলেন, অন্য বছরের চেয়ে অনেক আগেই এবার বাজারে বাঙ্গি এসেছে। আগাম জাতের বাঙ্গি চাষ করেছেন অনেক চাষি। তিনিও লাভের আশায় পাইকারী কিনে খুচরা বিক্রি করছেন। তবে শীত থাকায় বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। গরম পড়লে বাঙ্গি বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আগাম বিভিন্ন জাতের বাঙ্গি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলে গরম শুরু হলে বাঙ্গি ব্যাপক চাহিদা থাকবে। তবে এবার আবহাওয়া অন্যরকম থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।