চন্দনাইশের বরমাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

27

সম্প্রতি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সংবাদ দৈনিক পূর্বদেশে প্রকাশিত হওয়ার পর চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী, এডিশনাল পিপি এড. মো. দেলোয়ার হোসেন ও চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে চর বরমা এলাকায় বন্যায় বসতবাড়ি বিধ্বস্ত পরিবারের মাঝে নগদ টাকা, চাল, আলু, ডাল, তেল, চিনি, লবন, আটা, ময়দাসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। গত বুধবার দৈনিক পূর্বদেশে চন্দনাইশে ক্ষত-বিক্ষত সড়ক, বসতঘর, দেখার কেউ নাই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী, এডিশনাল পিপি এড. মো. দেলোয়ার হোসেন ও চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে চর বরমা এলাকায় গত বন্যায় বসতবাড়ি বিধ্বস্ত অসহায় প্রতি পরিবারে নগদ ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। চাল ও খাদ্য সামগ্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, নগদ অর্থ সাহায্যে এগিয়ে আসেন চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী, চন্দনাইশ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ জেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কমরুদ্দীন ছবুর, সাঙ্গু গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ তাহের, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি, এডিশনাল পিপি মো. দেলোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্যের ভাতিজা তানভিরুল ইসলাম চৌধুরী, চন্দনাইশ সমিতি চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দীনসহ অনেকে। ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মো. গাউছ মিল্টন, এসএম রহমান, মো. কমরুদ্দীন, মো. নাছির উদ্দীন,মো. কামরুল ইসলাম মোস্তাফা, যুবলীগ নেতা এসএম সেলিম উদ্দীন, নজরুল ইসলাম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আবু তৈয়ব, মো. মহিউদ্দীন, মো. ফরিদ, মো. সোহেল, দুলাল বড়ুয়া, মো. ফরমান প্রমুখ। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মমতাজ বেগম, সাজেদা বেগম, নুর আয়শা বলেছেন, বন্যায় বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পর কোন জনপ্রতিনিধি তাদের দেখতে আসেন নাই। সরকারিভাবেও তেমন সাহায্য সহযোগিতা পান নাই। বন্যা পরবর্তী অর্থাভাবে বসতঘর সংস্কার করতে না পারায় দীর্ঘ সময় ধরে অন্যের ঘরে আশ্রিতা হয়ে দিন কাটছিল। মানবতার সেবায় যারা এগিয়ে এসেছে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, কাল থেকে বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু করবেন এবং তারা নিজ গৃহে ফিরে আসবেন। একইভাবে অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে মো. আলম, মো. হারুন, ইসহাক নবী, আমির হোসেন বলেছেন, তারা আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করছেন অন্তত এ আর্থিক সাহায্য পেয়ে বসতঘর নির্মাণ করে ছেলে মেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে একই সাথে বসবাস করতে পারবেন। এদিকে থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী এলাকার সড়ক সংস্কারের জন্য ১০ ট্রাক ভাঙ্গা ইট দেয়ায় এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে ধামাইরহাট-বরমা-মৌলভী বাজার সড়কের সংস্কার কাজ এগিয়ে চলছে।