চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

122

‘চট্টলবীর’ খ্যাত নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গতবছর আজকের দিনে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেদিন চট্টগ্রামের এই নেতাকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে চট্টগ্রামবাসী।
এদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন নগর আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার। মহান এই নেতার কর্মময় জীবনের স্মৃতি রক্ষার্থে গঠন করা হয়েছে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ।
গত বছরের ১১ নভেম্বর নিজ বাসায় মৃদু হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে রাতে নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে অবস্থার অবনতি হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৬ নভেম্বর অসুস্থ মহিউদ্দিনকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের অ্যাপেলো গি-নিগ্যালস হসপিটালে তার শরীরের এনজিওগ্রাম এবং হার্টের দুটি ব্লকে রিং বসানো হয়। সিঙ্গাপুরে ১১ দিনের চিকিৎসা শেষে ২৬ নভেম্বর রাতে দেশে ফিরেন মহিউদ্দিনের স্বজনরা। এরপর তাকে আবারও স্কয়ার হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন চৌধুরী কিছুটা সুস্থবোধ করলে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। ১৪ নভেম্বর সকালে কিডনি ডায়ালিসিস করার জন্য ম্যাক্স হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যুবরণ করেন চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর রাউজানের গহিরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৬৫ সালে সিটি কলেজে লেখাপড়ার সময় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। এইচএসসি পাস করার পর চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানে মুজিববাদী ছাত্রলীগের হয়ে চাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হন। সেবার সফলতা ধরা না দিলেও মহিউদ্দিন চৌধুরী পিছিয়ে পড়েননি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে অন্যতম সংগঠক হিসেবে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভ‚মিকা রাখেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের দশকে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থানে থাকেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। টানা ১৭ বছর চসিকের মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এসময় চট্টগ্রামের মানুষের সাথে থেকে অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।