চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ স্মরণসভা

164

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে বরেণ্য পুঁথি পন্ডিত, গবেষক ও সংগ্রাহক মুন্সী আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদেরর ৬৬তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনাসভা সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নগরীর কদম মোবারক এম, ওয়াই. উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যক্ষ বিজয় লক্ষী দেবী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, সাতকানিয়া পৌর মেয়র কবি মোঃ জোবায়ের, সংগঠক জসিম উদ্দীন চৌধুরী, কবি সজল দাশ, সাবেক ছাত্রনেতা সালাউদ্দীন লিটন, উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী শামসুল হায়দার তুষার, জসিম উদ্দীন মিঠুন, রতন ভট্টাচার্য, সবুজ বড়ুয়া রকি নাছির হোসেন জীবন, মোরশেদ আলম, কণক বড়ুয়া, ছাত্রনেতা তাসরিফুল ইসলাম জিল্লু, মোঃ জাফর, জনি বড়ুয়া, মোঃ সেলিম উল্লাহ, মোঃ জাবেদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ ছিলেন ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তানের একজন বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা এবং প্রাচাীন বাংলা পুঁথির সংগ্রাহক ও ব্যাখ্যাকার। তাঁর সাহিত্যকর্ম তৎকালীন শিল্প সাহিত্যের বিদগ্ধ সমাজের মনোযোগ আকর্ষন করে। মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান ছিল তাঁর বিশেষ আগ্রহের বিষয়। সারা জীবন তিনি প্রাচীন বাংলা পান্ডুলিপি (পুঁথি) সংগ্রহ করেন। তাঁর সংগৃহীত ১৭০০ পুঁথি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করেছিলেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থগারে সংরক্ষিত হিন্দু কবিদের লেখা অবশিষ্ট পুঁথিগুলো রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে দেওয়া হয়। প্রধান বক্তা বলেন চট্টল ধর্মমন্ডলী তাঁকে সাহিত্য বিশারদ উপাধিতে ভূষিত করেন আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ পুঁথি’র বরেণ্য সংগ্রাহক। বিজ্ঞপ্তি