চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

62

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়–য়া সংবর্ধিত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেছেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি বড় মনের মানুষ হতে হবে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে কঠোর লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করে সাফল্য অজর্নের লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তবেই দেশ ও জাতি এমনকি বাবা-মা যারা পরিশ্রম করে বড় করছেন, তারা আরো ভাল কিছু পাবেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামবাসীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং সম্প্রতি বাংলাদেশের আধুনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট এর সাফল্যের বিষয়ে অবহিত করেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকার চট্টগ্রাম ভবনে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০১৮ সালের পিইসি, জেএসসি ও জেডিসি এবং ২০১৯ সালের এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে তাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করায় তিনি সমিতিকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত, পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ, পবিত্র গীতা পাঠ ও সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র সভাপতি ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারকের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মাহ্মুদ সালাহ্উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি, শিক্ষা ও পাঠাগার উপপরিষদের আহব্বায়ক ও ওয়েল গ্রুপের সিইও সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মাবুদ।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আনোয়ার ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরাই ভবিষ্যত কর্ণধার এবং ভবিষ্যত নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তোমাদের নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে।
আহব্বায়ক সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্বাগত ভাষণে নিজের শিক্ষাজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন এবং সংবর্ধনাপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের চট্টগ্রাম সমিতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা ১০৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন। তোমরা জীবনে হাল ছেড়ো না, তাহলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেঁচে থাকবে বাকী জীবন।
শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মাহ্মুদ সালাহ্উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালে পিইএস, জেএসসি ও জেডিসি এবং ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সমিতির জীবন সদস্যদের ৯৯ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সন্তানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা প্রাপ্ত ৯৯ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও পুরস্কার হিসেবে বই প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন সাফফাত সাজ্জাদ কাফি, মোস্তাইনুল মাওয়া নানজীবা এবং ও লেভেলের ছাত্রী সামিরা হক লারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট নাসরীন সিদ্দিকা লিনা, হাসপাতাল কমিটির সদস্য সচিব মো. মহিউল ইসলাম মহিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদিন জামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুদ্দিন আহমদ (বাবুল) ও শফিকুর রহমান শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম ওয়াহিদ উল্লাহ, শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মাহমুদ সালাহউদ্দীন চৌধুরী, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান (মন্টু), মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনিচ উল মাওয়া (আরজু) নির্বাহী সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (হিরো), মোস্তফা ইকবাল চৌধুরী (মুকুল), ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ আবছার চৌধুরী, রাহুল বড়ুয়া, মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ মনসুর আলী চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি