চট্টগ্রাম রোটারি সেন্টার পূর্ণাঙ্গ দৃশ্যমান ডিসেম্বরের মধ্যেই

47

সদস্য হওয়ার যে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যাচ্ছে তাতে করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম রোটারি সেন্টার’র পূর্ণাঙ্গরূপ দৃশ্যমান হবে। আর এটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামে রোটারিয়ানদের দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশা পূরণ হবে। গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আইইবি সেমিনার হলে চট্টগ্রাম রোটারি সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও উদ্বোধন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভায় জেলা গভর্নর এম আতাউর রহমান পীর এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের সকল রোটারিয়ানদের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ এর প্রেসিডেন্টরা উদ্যোগ নিয়েছেন, যা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে যারা রোটারি সেন্টারের সদস্য হবেন মূলত তারাই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন। তারাই গঠনতন্ত্র অনুমোদন করবেন। পরিচালনা কমিটিও সদস্যদের ভোটে সদস্যদের মধ্য থেকেই হবেন।’ রোটারি সেন্টার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক রোটারি ক্লাব খুলশীর সভাপতি আবু দাউদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব চিটাগাং হিলটাউনের সভাপতি দেবদুলাল ভৌমিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা গভর্নর এম আতাউর রহমান পীর। স্বাগত বক্তব্য দেন বাস্তবায়ন কমিটির ট্রেজারার রোটারি ক্লাব চিটাগাংয়ের সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম। অতিথি ছিলেন পিডিজি আবদুল আহাদ ও লেফটেনেন্ট গভর্নর মাহফুজুল হক। সভায় আরও বক্তব্য দেন পিপি জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, হাবিব মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ আসরার, মীর নাজমুল আহসান রবিন, মুবিনুল হক, এম আবু তৈয়ব, এ এম হান্নান, সুদীপ কুমার চন্দ প্রমুখ। সভায় গনর্ভরের হাতে চেক দিয়ে ২২ জনের মত রোটারিয়ান রোটারি সেন্টারের দাতা ও আজীবন সদস্য হন। এরমধ্যে দুই লাখ টাকার চেক দিয়ে দাতা সদস্য হন হেরিটেজের চাটার্ড প্রেসিডেন্ট এম আবু তৈয়ব। অন্যরা ৫০ হাজার টাকার চেক দিয়ে আজীবন সদস্য হন। সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেকে পৃষ্ঠপোষক, দাতা ও আজীবন সদস্য হওয়ার অঙ্গীকার করেন। পিপি জাহাঙ্গীর চৌধুরী নিজে ৫ লাখ টাকা দিয়ে পৃষ্ঠপোষক সদস্য হওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি ডিজিই ড. বেলাল উদ্দিন আহমদের পৃষ্ঠপোষক সদস্য হওয়ার ঘোষনা দেন। সবশেষে রোটারি সেন্টারের সদস্যবৃন্দ ফটোসেশনে অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি