চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেসমেন্ট বিষয়ে সেমিনার

58

এক শিক্ষার্থীকে অন্য শিক্ষার্থীর সাথে তুলনা করবেন না। তাদের নিজেদের অবস্থা উন্নয়ন হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। ‘ও পারে, তুমি পারো না’ এইভাবে শিক্ষার্থীদের হেয় করা যাবে না। কারণ প্রত্যেক শিক্ষার্থীই বিশেষ ভাবে যোগ্য। তাদের মূল্যায়ন তাদের অবস্থান থেকে করতে হবে। ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি সম্মেলন কক্ষে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেসমেন্ট বিষয়ে এক সেমিনারে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ইসমাইল খান এসব কথা বলেন। ভিসি ইসমাইল খান সেমিনারে চেয়ারপার্সন ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করলেই শিক্ষকের কাজ শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার্থীরা সেটা কতটুকু গ্রহণ করতে পারছে সেটা দেখতে হবে। তাদের যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে মূল্যায়ন করতে হবে। তা না হলে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখতে পারছে সেটা বুঝা যাবে না। শিক্ষার্র্থীদের মূল্যায়ন করা সময় তিনটি বিষয়ে নজর দিতে হবে জানিয়ে ইসমাইল খান বলেন, অব্যশয় জানতে হবে (মাস্ট নো), জানা উচিত (সুড নো) ও জানলে ভাল (নাইট টু নো) এ তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের এস্যাসমেন্ট করতে হবে। শিক্ষকদের প্রথমে দেখতে হবে শিক্ষার্থীরা অব্যশয় জানতে হবে(মাস্ট নো) এমন বিষয় গুলো কতটুকু জানে। অর্থাৎ বেসিক বিষয় গুলো সম্পর্কে ওরা কতটা ধারণা রাখে। জ্ঞান অর্জন একটি চলমান বিষয় উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ছয়টি ধাপে এটি কাজ করে, প্রথমে নলেজ রিম্মেবার, দ্বীতিয় আন্ডারস্টেন্ড, তৃতীয় অ্যাপলায়, চতুর্থ এনালায়সিস, পঞ্চম ইভালুয়েশন ও ষষ্ঠ ক্রিয়েটিভ। শিক্ষকদের নিজেদেরও টিচিং পদ্ধতির এসেসমেন্ট করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে নিজেকে জানতে হবে। এরপর অন্যদের জানানো যাবে। শিক্ষার্থীদের শিখাতে হলে আগে নিজেদেরকে জানতে হবে। অনেকেই নিজের জ্ঞানের গভীরতা শিক্ষার্থীদের দেখাতে চাই। কিন্তু সেটা ঠিক না। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিতে হবে। তারা কতটুকু বুঝতে পারছে বা পারবে সেই অনুযায়ী তাদের পড়াতে হবে। ভাইভা বোর্ডে কঠিন প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীদের বিচলিত করা ঠিক না জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অবস্থা বিবেচনা না করে কঠিন প্রশ্ন করে এটা ঠিক না। শিক্ষার্থীরা কতটুকু বুঝতে পারছে সেটা দেখতে হবে। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ডা. শেখ শফিউল আজম। তিনি বলেন, প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি আমরা। আমরা প্রজেক্ট প্রোফাইল রেডি করে সরকারে বিভিন্ন দপ্তর গুলোতে ধরণা দিয়েছি। আজ চট্টগ্রামে এ বিশ^বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। আমরা গর্ব করে সব জায়গায় বলতে পারি।

ডা. মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন ডা. হাসিনা নাসরিন। ডা. হাসিনা নাসরিন বলেন, আমরা স্কিল পার্স তৈরী করছি কিন্তু বাজারে ওরা চাকরি পাচ্ছে কিনা সেটা দেখছি না। আমাদের কোন ক্ষেত্রে জনবল প্রয়োজন সেটা এসেসমেন্ট করে দক্ষ জনবল তৈরী করতে হবে। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিআইটিআইডি’র চিকিৎসক, নাসিং কলেজের শিক্ষক ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি