চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নভেম্বরের মধ্যেই সম্মেলন

60

আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের সবক’টি জেলা-উপজেলার সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ১০ বছরের বেশি কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনাও দেন তিনি। নির্দেশনার পরই গতকাল চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। এতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশপাশি আগামী নভেম্বরের মধ্যেই দুই জেলা ও নগর কমিটির সম্মেলন সম্পন্নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম। এতে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, মহানগরের স্থগিত হওয়া ওয়ার্ড সম্মেলন করতে আর কোন বাধা নেই। গত ২৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় মহানগরের ৪৩টি ওয়ার্ডের সম্মেলন স্থগিত করা হয়। এর আগে চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে মাসব্যাপী সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। গতকাল দেওয়া সর্বশেষ নির্দেশনায় সম্মেলন করতে বাধা না থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে পুরো সম্মেলন প্রক্রিয়া তদারকি করতে মাঠে থাকবে কেন্দ্রের বিশেষ টিম।
দক্ষিণ জেলার আওতাধীন বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দুই উপজেলায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া চার উপজেলার সম্মেলনও সহসা করতে হবে। বাঁশখালীতে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল দুই যুগ আগে। বর্তমানে এ কমিটির ১৫ জন নেতা মৃত্যুবরণ করেন। নিষ্ক্রিয় আছেন ২০ জন। সবমিলিয়ে ৭-৮জন নেতা রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। বোয়ালখালীতে সম্মেলন ছাড়াই একটি এডহক কমিটি করা হলেও সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। তবে এ কমিটি নিয়ে তৃণমূলে অসন্তোষ বাড়ে।
উত্তর জেলায় সম্মেলনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে বলা হয়। সব উপজেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি করতে হবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন নেতারা। তিন ইউনিটকেই ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলার সম্মেলন করে জেলা ও নগর সম্মেলন করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। দক্ষিণ জেলায় বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর কমিটি ভেঙে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হবে।