চট্টগ্রাম-বরিশাল ও ঢাকা-রংপুর ম্যাচ ড্র

16

জাতীয় ক্রিকেট লিগের টায়ার ওয়ান ও টায়ার টু’এর ম্যাচে দেখা গেল দু’রকম চিত্র। খুলনায় লো-স্কোরিং ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। বগুড়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ডাবল লড়াইও সিলেটের বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি ঢাকা মেট্রো। আর চট্টগ্রামে ঢাকা-রংপুর এবং ফতুল্লায় চট্টগ্রাম-বরিশালের ম্যাচে কেউ জয় পায়নি।
সাইফ হাসানের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি (২২০) ও রনি তালুকদার (৬৫), রকিবুল হাসান (৫৭), নাদিফ চৌধুরীর (৬১) ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৫৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। জবাবে লিটন দাস (১২২) ও নাঈম ইসলামের (১৩৫) সেঞ্চুরি, সোহরাওয়ার্দী শুভর অপরাজিত ৯২ ও তানবীর হায়দারের ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৫০৮ রান তোলে রংপুর।
৪৮ রানে এগিয়ে থাকা ঢাকা শেষদিনের পড়ন্ত বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান তোলার পর ড্র হয়ে যায় ম্যাচটি।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনেই জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল স্বাগতিক দল। রাজশাহীকে শেষপর্যন্ত তারা হারিয়েছে সহজেই। ১০৮ রান করতে শেষদিনে খুলনার হাতে ছিল পুরো ৯০ ওভার ও ৯ উইকেট। এদিন দুটি উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা। ৭ উইকেটের জয় তুলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে আব্দুর রাজ্জাকের দল।
এদিকে বগুড়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ডাবল লড়াই ঢাকা মেট্রোকে শেষদিন পর্যন্ত ম্যাচে রাখলেও পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি। ইমতিয়াজ হোসেনের অপরাজিত ১১০ রান মেট্রোর বিপক্ষে সিলেটকে এনে দিয়েছে ৮ উইকেটের দারুণ এক জয়।
অন্যদিকে ফতুল্লায় টায়ার-২ এর ম্যাচে শেষদিনে চট্টগ্রাম বিভাগ ৬ উইকেটে ১৯৫ করে ইনিংস ছাড়ে। বন্দরনগরীর দলটি বরিশালকে দেয় ৩৩৫ রানের লক্ষ্য। কিন্তু প্রতিপক্ষকে অলআউট করার পর্যাপ্ত সময় পায়নি তারা।
শাহরিয়ার নাফিস ৪২, মোহাম্মদ আশরাফুল ৬০, মোসাদ্দেক হোসেনের ৩৫ রানে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলে বরিশাল। তারা ৭ উইকেটে ১৭৪ তোলার পর ম্যাচে ড্র মানতে হয় চট্টগ্রামকে।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া নাঈম হাসানের দ্বিতীয় ইনিংসেও শিকার সমান উইকেট। নোমান চৌধুরী ২টি ও মাসুদ খান একটি করে উইকেট নিলেও তা চট্টগ্রামের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এর আগে চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রান তুলেছিল। বরিশাল বিভাগকে পরে ২১৬ রানে অলআউট করে ১৪০ রানের বড় লিড নেয় তারা।