চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট

36

ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়েছে। আমদানিকারকদের এজেন্টরা এ সময়ে ডেলিভারি নিতে আগ্রহী না হওয়ায় এ জট দেখা দিয়েছে। তবে ছুটিতেও বন্দরের সব বিভাগে কাজ চলছে। কন্টেইনার ডেলিভারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরাও কাজ করছেন। শুধু ঈদের দিন বুধবার (৫ জুন) ১২ ঘণ্টা ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ ছিল বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।
ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিএন্ডএফ) এক কর্মকর্তা বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে এখন ছুটি চলছে। ঈদের আগে ৩ দিন ও পরে ৩ দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই পুরো সপ্তাহে পণ্য ডেলিভারি কমে যাচ্ছে। এতে কনটেইনারের যে জট সৃষ্টি হচ্ছে, তা কমাতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নিতে হবে। খবর বাংলানিউজের
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে কন্টেইনার ধারক্ষমতা ৪৯ হাজার টিইইউস (টোয়েন্টি ফিট ইকুইভেলেন্ট ইউনিট)। স্বাভাবিক অবস্থায় ইয়ার্ডে ৩০-৩৫ হাজার টিইইউস কন্টেইনার থাকে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে পণ্যভর্তি পাঁচ হাজার আমদানি-রফতানির কন্টেইনার ডেলিভারি হয়ে থাকে। শনিবার (১ জুন) ৩ হাজার ৬১৬ টিইইউস কন্টেইনার ডেলিভারি হয়। রবিবার (২ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) পর্যন্ত এ সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম।
এদিকে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে ৪০টির বেশি জাহাজ। জেটিতেও আছে কয়েকটি জাহাজ। জট সৃষ্টি হচ্ছে বেসরকারি ১৯টি ডিপোতেও। রফতানি পণ্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, কন্টেইনার জট কমাতে সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের ঈদের ছুটিতে এবং এর পরে পণ্য ডেলিভারি নিতে বলা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সবসময় ডেলিভারি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু ছুটিতে সিএন্ডএফ এজেন্টরা পণ্য নিতে অনাগ্রহী হওয়ায় বন্দরের ওপর চাপ পড়ে।