চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রামে তিন মন্ত্রী, এক উপমন্ত্রী

80

মন্ত্রিসভার শপথ আজ। গতকাল রবিবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পদে স্থান পাওয়া নেতাদের ফোন করা হয়েছে। ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে তিনজন ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম থেকে একজনকে স্থান দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের ফোন পেয়ে শপথের অপেক্ষায় তাঁরা। তবে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মন্ত্রিসভা চূড়ান্তের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর চলে আসা নানা জল্পনা কল্পনার অবসান হলো।
জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান থেকে টানা ছয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিং করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী। চট্টগ্রামের নেতাদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদকে তথ্যমন্ত্রী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়েছে।
বিগত সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপিকে নবগঠিত মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। বাদ পড়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বন, পরিবশে ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদও।
এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়াদের মধ্যে বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান থেকে টানা ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দুই দফা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। গত সরকারেও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। যে কারণে এবারো তাকে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি জোরেশোরেই আলোচনা হয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত এবারো তিনি একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়ে গেলেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। নবম জাতীয় সংসদে গঠিত মন্ত্রিসভার বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিগত সরকারে মন্ত্রিসভায় না থাকলেও বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। রাঙ্গুনিয়া থেকে তিনদফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের এই নেতা।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ আবারো মন্ত্রী হচ্ছেন বলে আলোচনা ছিল। গত সরকারে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল জাবেদকে। দায়িত্ব পেয়েই ভূমি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের উপজেলা ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে ওঠেন। ভূমি অফিসগুলোর আতঙ্ক ছিল জাবেদের ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’।
মহিউদ্দিন পুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে অনেকটা চমক হিসেবেই চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। উপমন্ত্রী হয়েও চমক সৃষ্টি করলেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ নিয়ে কিশোরগঞ্জে থাকাবস্থায় উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন নওফেল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।