চট্টগ্রাম নগরীতে বায়ু দূষণরোধে সভা জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

53

বায়ু দূষণের কারণে শিশু ও মা’দের হাপানি, এজমা, ক্যান্সার, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, শিশুর মেধা বিকাশ, জন্ডিসসহ নানা জটিল রোগের প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ক্রমাগত বায়ু দূষণের কারণে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামও ক্রমেই বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
বায়ু দূষণের মূল কারণগুলোর মধ্যে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, সমন্বয়হীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য পৃথক বরাদ্ধ রাখা ও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা, বিভিন্ন শিল্প কারখানার কালো ধোঁয়া নির্মগন, শিল্প বজ্য, পাহাড় কাটা ও ইট ভাটার ধোঁয়া।
অন্যদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য পৃথক বরাদ্ধ রাখার বিধান থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর শুধুমাত্র নোটিশ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। ফলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মানছে না খোদ সরকারি সংস্থাগুলি, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, টিএন্ডটি, কনণফুলী গ্যাস ও সিটি কর্পোরেশন এর উন্নয়ন কর্মকাণে নিয়োজিত ঠিকাদারগণ। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো নগরবাসীকে। বায়ু দূষণের ফলে বসবাস অযোগ্য নগরীর মধ্যে অন্যতম হিসাবে চট্টগ্রামের নাম উঠে এসেছে। এ অবস্থায় বায়ু দূষণ রোধে দ্রুত এ দূষণের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়গুলি কঠোরভাবে অনুসরণে বাধ্য করা ও সাধারণ জনগণের মাঝে এ বিষয়ে অনুসরণীয় বিধি বিধানগুলি মেনে চলার আহবান জানানো হয়েছে। ২ ডিসেম্বর নগরীর জামালখানস্থ আমেরিকান কর্নার মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রাম ও আমেরিকান কর্নারের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর বায়ুর মান নির্নয় ও বায়ু দূষণ রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বিভিন্ন বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ঠ শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বাসনা মুহুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্ট সাইন্স এর অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, সরকারি মহসিন কলেজের অধ্যাপক ও কর্ণফুলী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কেইজ প্রকল্পের সমন্বয়কারী নূর হোসেন, দেশ টিভির ব্যুরো চীপ আলমগীর সবুজ। আমেরিকান কর্নারের পরিচালক রুমা দাসের স্বাগত বক্তব্যে আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, রোটারিয়ান তারিক, ক্যাব আকবর শাহ থানার সভাপতি ডাঃ মেজবাহ উদ্দীন তুহিন, ক্যাব হালিশহরের এম এ আজিজ, এমদাদুল ইসলাম সৈকত, অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন, শিক্ষিকা সালমা জাহান, ক্যাব জামালখানের নবুয়ত আরা সিদ্দিকী প্রমুখ।
বক্তারা অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, নগরীর রাস্তা খুড়ে বছরের পর পর ফেলে রেখে দুর্ভোগ সৃষ্ঠিকারী সরকারি-বেসরকারি যে সংস্থাই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আহ্বান চানান। বিজ্ঞপ্তি