চট্টগ্রাম জেলার লজ্জাজনক পরাজয়

35

ম্যানেজারহীন দলের দায়িত্ব একা নিয়ে, দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের না নামিয়ে খেয়ালখুশি মতো নিজের অ্যাকাডেমির ছেলেদের প্রাধান্য দিতে দিয়ে স্বজনপ্রীতির দল গড়ে চট্টগ্রাম জেলা দলকে লজ্জার সাগরে ডুবিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সুনামগঞ্জ জেলা দলের কাছে লজ্জাজনকভাবে ৮২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে চট্টগ্রাম জেলা দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে চলমান অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে কুমিল্লা ভেন্যুতে গতকাল টস জিতে সুনামগঞ্জ জেলা দল ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ১৭৯ রান তোলে। সংযুক্ত অস্পষ্ট স্কোর কার্ডে দেখা যায়, সবোর্চ্চ ৩৬ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটম্যান আসিফ আকবর, অন্যজন ৩০। তবে মজার বিষয় হলো সুনামগঞ্জ দলের কেউ অর্ধশতক তুলে নিতে না পারলেও তাদেরকে অতিরিক্ত ৫৩ রান দিয়ে ইনিংসকে বড় করতে সহায়তা করেছে চট্টগ্রাম জেলা দলের বোলাররা। যার মধ্যে বাই রান ২০টি, লেগ বাই ২, নো বল ১ ও ওয়াইড ৩০টি। এতে বুঝা যায় দলের বোলার ও উইকেট কিপারের দক্ষতা কতটুকু। ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭ ওভারে চট্টগ্রাম জেলা দলের ইনিংস ৯৭ রানে গুটিয়ে যায়। এখানে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নয় নম্বর ব্যাটসম্যান। ডাক মেরেছে তিন জন। দশের নিচে রান ছয় জনের। দলের একমাত্র কর্মকর্তা, কোচ ফারুক হোসেন টিটু ব্যর্থতার সমস্ত বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন পিচ আর উইকেটকিপারের ঘারেই। অবশ্য দল যে এ ধরণের খারাপ রেজাল্ট করতে পারে সে ব্যাপারে আগেই কানাঘুষা শোনা গিয়েছিল যখন এ লেভেলের অন্যতম সেরা একজন বাঁ হাতি স্পিনারকে স্ট্যান্ড বাই ও রাখা হয় নি আর অনূর্ধ্ব ১৬ দলের তালিকা বা টিম ম্যানেজারের নাম পত্রিকায় দেখা যায় নি।
এদিকে চট্টগ্রাম ভেন্যুর খেলায় খাগড়াছড়িকে হারিয়েছে মৌলভিবাজার জেলা দল। সাগরিকা মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত এতে টস জিতে মৌলভিবাজার আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। দলের পক্ষে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ রাফি। এছাড়া ২৯ রান আসে আরিফুল ব্যাট থেকে এবং ২২ রান করেন নাজিম আহমেদ। খাগড়াছড়ি জেলা দলের হয়ে সাফায়েত ও জয় তিনটি করে উইকেট নেন। ১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খাগড়াছড়ি ১০৯ রানে অলআউট হয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন জয় সিংহা। এছাড়া সাকিল হোসেন করেন ২০ রান। প্রতিপক্ষ মৌলভিবাজারের হয়ে তফাজ্জল তিনটি এবং হত্তিহাদ ও রিদওয়ান দুটি করে উইকেট নেন।