চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস আজ

6

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি কালো দিন ২৪ জানুয়ারি। ১৯৮৮ সালের এইদিনে ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে জনসভায় যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। স্বৈরশাসক এরশাদের অনুগত নগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে গুলি চালানো হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে সেদিন ২৪ জন শহীদ হন। সেই থেকে দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। দিনটি চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস হিসেবে ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত দিন হয়ে আছে।
২৪ জানুয়ারি লালদিঘির ঘটনায় নিহতরা হলেন, মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথেলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।
ঘটনার চার বছর পর এরশাদের পতন হলে ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ এডভোকেট মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে নগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলোচিত এ মামলার মোট সাক্ষী ১৬৭ জন। ৫৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি ঘটনার ৩২ বছর পূর্ণ হওয়ার মাত্র চারদিন আগে হওয়া আদালতের রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। একই রায়ে আদালত ৩২৬ ধারায় পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডও প্রদান করেন।
এদিকে গণহত্যা দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মুখস্থ চত্বরে ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামে গণহত্যায় নিহত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ বেধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত কর্মসূচিতে নগর আওয়ামী লীগের সকল কর্মকর্তা, সদস্য, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহবান জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।