চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের গর্ত ভরাট করল প্রশাসন

15

হাটহাজারী প্রতিনিধি

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে সড়কে হাটহাজারী পৌরসভার ১১ মাইলের টিএন্ডটি ভবনের সামনে একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে করে ওই সড়কে দ্রæতগতি ও ভারী যানবাহন চলার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলমের হস্তক্ষেপে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর লোকজন তা মেরামত করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টানা বর্ষণে পৌরসভা এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ড ও উপজেলা ৪/৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে শনিবার সকালে হাটহাজারী পৌরসভার ১১ মাইলের টিএন্ডটি ভবনের সামনে ছড়ার উপর চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়ক ঘেঁষে নির্মিত একটি সেতুর পাশে মহাসড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছিল স্থানীয়রা।
তাছাড়া ওই গর্তের পাশ দিয়ে প্রতিমুহূর্তে অসংখ্য দ্রæতগতির ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এমতাবস্থায় বিষয়টি অবহিত হয়ে ইউএনও মো. শাহিদুল আলম এ ব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে সওজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। বিষয়টি জানতে পেরে সওজ’র লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামত কাজ শুরু করে বিকেল নাগাদ শেষে করে। এতে করে চট্টগ্রামের সঙ্গে তিন উপজেলা ও দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ হাটহাজারীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু আহসান মো. আজিজুল মোস্তফা বলেন, ভারী বৃষ্টিতে মহাসড়কের যে অংশ ধসে পড়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে সংস্কার করা হয়েছে। যাতে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় একটি স্কুলে যাতায়তের সড়কের আট ফুটের মধ্যে পাঁচ ফুটই দখল করে টিনের বেড়া দিয়ে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। এতে এই সড়ক পথে স্কুলগামী কয়েকটি গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের আবুল বশর চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে এই দখল প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী স্কুল কর্তৃপক্ষ।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শান্তিরহাট-বেতাগী সড়কের ডিঙ্গেললোঙ্গা এলাকা থেকে পূর্বে তিন সৌদিয়া মির্জাখীল সড়কের স্কুল গেটের সাথে সংযুক্ত করেছে আবুল বশর চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় সড়কটি। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি অন্তত আটফুট প্রশস্ত। সড়কে সরকারিভাবে স্থাপন করা দুটি কালভার্ট এই সড়কের প্রবেশমুখে এবং শেষ প্রান্তে ইতিপূর্বে স্থাপিত হয়েছিলো। আবুল বশর চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক নামে পরিচিত এই সড়কে ২০১৫ সালে স্কুলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণও করা হয়েছিলো। যেটি দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি ডিঙ্গেললোঙ্গা, অ্যান্দরঘোনা, বানিয়াখোলা ও আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে শত শত স্কুল শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকেন। সম্প্রতি জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের অর্ধেক অংশ কেটে টিনের বেড়া দিয়ে দখল করে ফেলেছ স্থানীয় আবু মুছা নামের এক ব্যক্তি। এতে স্থানীয় ও স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াত পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। শত শত স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকার সচেতন মহল এর প্রতিবাদ করেও তাকে অবৈধ সড়ক দখল থেকে বিরত করতে পারেনি। পরে তার ব্যাপারে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কান্তি নাথ সহ স্কুল পরিচালনা কমিটি। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, স্কুল গেটের পাশেই সড়কের কালভার্টের উপর বৃক্ষরোপণ সম্বলিত সাইনবোর্ড রয়েছে। এর পাশ থেকেই সড়কের মাঝ বরাবর কেটে টিনের বেড়া দিয়ে বসতভিটার সাথে দখল করে ফেলা হয়েছে সড়ক। বসতভিটা ফেলে কিছুদূর এগুলেই দেখা যায়, সড়ক কেটে দখল করার কারণে এটি ভেঙে নিচু জমিতে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাতে মাটির বস্তা দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েই ওই ঝুকিপূর্ণ সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কান্তি নাথ জানান, কালভার্টের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করায় বর্তমান স্কুলের প্রবেশপথ ও মাঠের ভেতর দিয়ে পানি চলাচল করছে। এতে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৬০০ শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক চলাচল ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
সড়ক দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওই এলাকার মো. বদন মিয়ার ছেলে মো. মুছা চৌধুরী জানান, প্রবাসে থাকা অবস্থায় আমার জায়গা দখল করে তিন সৌদিয়ার মানুষ ছড়া দখল করে এই সড়কটি করেছেন। তিনি তার জায়গা দখল করেছেন বলে জানান।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী বলেন, স্কুলের পক্ষ থেকে সড়ক দখলের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তা তদন্তের জন্য সম্প্রতি স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।