চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরও ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত

86

চট্টগ্রামে বিআইটিআইডিতে গতকাল মঙ্গলবার ২৬২টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে মহানগরের ৪৪, উপজেলায় ১০, নোয়াখালীর ১ ও লক্ষীপুরের ৩ জন রয়েছেন।
অপরদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে মহানগরে ৭১, পটিয়ার ১, স›দ্বীপের ২ ও কক্সবাজারের একজন রয়েছেন।
কক্সবাজারে ৪ রোহিঙ্গাসহ শনাক্ত ৩৪ : কক্সবাজারে মঙ্গলবার (১৯ মে) একদিনেই চার রোহিঙ্গাসহ ৩৪ জনকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এটিই একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ২৩৭ জন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, সোমবার (১৯ মে) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪ রোহিঙ্গা এবং ৮ ফলোআপ রোগীসহ ৪২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এদের মধ্যে একজন র‌্যাব সদস্যও আছেন। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৭ জন।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আক্রান্ত ৩৪ জনের মধ্যে সদর উপজেলায়-৫ জন, রামু-১ জন, চকরিয়া-১৭ জন, উখিয়া-৩ জন, টেকনাফ-১ জন, পেকুয়া-২ জন ও ৪ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন।
এছাড়াও গত ৪৯ দিনে ৯ রোহিঙ্গা এবং ঢাকা আইসিইডিআর-এ শনাক্ত হওয়া জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী মোসলেমা খাতুনসহ কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩৫ জন।
এরমধ্যে কক্সবাজার সদরে ৬৩ জন, রামু-৫ জন, চকরিয়া-৭৯জন, মহেশখালী-১৩জন, উখিয়া-৩০ জন, টেকনাফ-১০ জন, পেকুয়া-২৩ জন, কুতুবদিয়ায়-২ জন ও ৯ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
৪ রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু মোহাম্মদ তোহা জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৯ জনই কক্সবাজারের উখিয়ার মেঘা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা।
ডা. তোহা বলেন, যথারীতি মঙ্গলবার যে চারজন রোহিঙ্গা আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন, তারা যে যে বøকে বসবাস করেন সব ব্লকই লকডাউন করা হবে। এসব এলাকা থেকে কোনো রোহিঙ্গাকে বাইরে আসতে দেওয়া হবে না।
কক্সবাজারে এ পর্য়ন্ত করোনা আক্রান্ত ১ নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি রামুর কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ার খোপ গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ’র স্ত্রী ছেনু আরা বেগম।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই নারীই কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা প্রথম রোগী।
এছাড়া ইতিমধ্যে মোট ৫৫জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।