চট্টগ্রাম ওয়াসায় আসছে প্রি-প্রেইড মিটার

80

বিলের ঝামেলা এড়ানো এবং অতিরিক্ত বিলের বোঝা কমাতে চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রি-প্রেইড মিটার সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সাথে পানির নতুন নতুন উৎস খুঁজে বের করা এবং বর্তমান উৎসগুলো থেকে আরো বেশি পানি কিভাবে পাওয়া যায় সে চিন্তা মাথায় রেখে গবেষণা সেল গঠনের প্রস্তাবও উঠেছে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সভায় এমন প্রস্তাব করেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী।
ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এসএম নজরুল ইসলাম প্রস্তাব দুটি অনুমোদন দেন। দ্রূত সময়ের মধ্যে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনাও প্রদান করেন।
বোর্ড সদস্য মহসিন কাজী বলেন, বোর্ড সভায় আমি প্রি-প্রেইড মিটার চালুর প্রস্তাব করেছি। বর্তমানে ওয়াসার মিটার রিডারদের কারসাজি, বিল আদায় না হওয়া, বিল বকেয়া পড়ে যাওয়া, পানি চুরি এসব প্রি-প্রেইড মিটার চালু হলে আর থাকবে না। এজন্য সর্বসম্মতিতে প্রিপ্রেইড মিটার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। প্রি-প্রেইড মিটার চালু হলে ওয়াসার আদায় বাড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কর্ণফুলী ও হালদা এই দুইটা নদী আমাদের পানির একমাত্র উৎস। তাছাড়া কর্ণফুলীতে নিয়মিত দূষণের মাত্রা বাড়ছে। অন্যন্য সংস্থা থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার কাছে বিষয়টি বেশি উদ্বেগের। কোনো কারণে দূষণ অতিমাত্রায় পৌঁছলে তখন চট্টগ্রামের মানুষের পানির চাহিদা কিভাবে মেটানো হবে? এসব বিষয় সামনে রেখে আমি একটি গবেষণা সেল গঠনের প্রস্তাব করেছিলাম। গবেষণা সেল গঠন করা হলে তারা পানির উৎসের খোঁজ করবে। কিভাবে দূষণ রোধ করা যাবে এবং বেশি পানি পাওয়া যাবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। সেটিও বোর্ড সভায় অনুমোদন হয়েছে। এখন একটি গবেষণা সেল গঠন করা হবে।
সূত্র মতে, পানির বিল নিয়ে মাঠপর্যায়ে ওয়াসার মিটার রিডারদের দুর্নীতি রোধ করা যাচ্ছে না। রিডিং নিয়ে নানা হেরফের করে মিটার রিডাররা। মিটারের রিডিং সংগ্রহ ও বিল তৈরি পর্যন্ত নানাভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। মিটার পরিদর্শকের পদে নিয়োজিত আছে সহকারী পাম্প অপারেটর। মিটার পরিদর্শকরা রিডিং গোলমাল করে পানি চুরি করছে। এ চুরিতে অনেক ক্ষেত্রে ওয়াসা আবার ক্ষেত্র বিশেষে গ্রাহককেও ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আর চুরি করা পানির হিসাব যুক্ত হচ্ছে সিস্টেম লসের খাতায়। অথচ সরবরাহ করা পানির সঠিক বিল পাওয়া গেলে ওয়াসায় রাজস্ব ঘাটতি অনেকাংশে কমে আসবে।
বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানার জন্য গতকাল চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।