নগর ও জেলার ১৫ উপজেলায় ৬৩টি স্থায়ী এবং ১৪৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসছে। এর মধ্য দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুর হাট সাগরিকা পশুর বাজারসসহ নগরে ৮টি পশুর হাট রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তত্ত¡াবধানে এসব হাটে ৩-১১ সদস্যের ৭১টি ভেটেরিনারি টিম থাকবে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। খুলশীতে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (০১৮৫৯ ২৫৫১৫১, ০১৭২০ ৮৮২২৮২) চালু করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা ও সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদ পশু কিনতে পারে, অসাধু খামারিরা যাতে রোগা, অসুস্থ পশু বিক্রি করে ঠকাতে না পারে সে দিকে নজর রাখবে ভেটেরিনারি টিম। এ ছাড়া পশুর ধকলজনিত পানিস্বল্পতা, জ্বর, ব্যথা, পরিবহনকালীন ট্রমাটিক ইনজুরি, সাধারণ ক্ষুধামন্দা ইত্যাদির চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবে এ টিম। কোয়াক ডাক্তার কর্তৃক অপচিকিৎসা রোধে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যবান্ধব উপায়ে পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলায় ২০৯ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। খবর বাংলানিউজের
প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাবের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) ডা. একেএম সাইফুদ্দিন, জেলা বিশেষ শাখার ওসি (ওয়াচ) মোহাম্মদ মজিবুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার চট্টগ্রামে ৭ হাজার ৫৭টি খামারে ৬ লাখ ১০ হাজার ২১৯টি পশু রয়েছে। গত ৩১ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রামে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৭টি গরু, ৪২ হাজার ২৮৪টি মহিষ, ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৮টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। গত বছর পশু ছিল ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৩৪টি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে ২ লাখের বেশি পশু চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। তাই এবার চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর ঘাটতি নেই।
চট্টগ্রামে ২০১৮ সালে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৫টি কোরবানি হয়েছে। ৩ হাজার মহিষসহ ৪ হাজার ৩৮ হাজার ৪২৪টি গবাদিপশু, ১ লাখ ৪২ হাজার ৮১৯টি ছাগল ভেড়া কোরবানি হয়েছে। এবার চট্টগ্রামে ৭ লাখ ২০ হাজার সম্ভাব্য কোরবানি পশুর প্রয়োজন। এর মধ্যে গরু মহিষের চাহিদা ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬১৭টি, ছাগল ভেড়া ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৮টি।
ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক কোরবানির পশু কেনার পর বাড়িতে পশুকে ভাত, চাল, গম, জাউ না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।