চট্টগ্রামে সম্মিলিত একুশের বইমেলা শুরু আগামীকাল

50

চট্টগ্রামে এবার ৮০ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে হতে যাচ্ছে সম্মিলিত বইমেলা। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কাল রবিবার থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে ২৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত। মেলায় থাকবে ১১০টি স্টল। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বইমেলা হিসেবে পরিচিতি পাবে এবারের মেলাটি। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পৃষ্টপোষকতায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন মেলা প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা-২০১৯’ এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এবারের বইমেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মেয়র বলেন, এবার ৮০ হাজার ৩০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে অমর একুশে বইমেলায় ১১০টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে ঢাকার প্রকাশকদের ৬০টি (৫টি ডাবলসহ) ও চট্টগ্রামের প্রকাশকদের ৫০টি (৪টি ডাবল) স্টল থাকবে। আগামীকাল রবিবার বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মেলা ২৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মেয়র আরো বলেন, প্রতিদিনই নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও নির্ধারিত দিনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সঙ্গীতানুষ্ঠান, নজরুল উৎসব, বসন্তবরণ উৎসব, ভালোবাসা দিবস, রম্য বিতর্ক, পাঠক সমাবেশ, সহিত্য আড্ডা, বিতর্ক, সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্র-নজরুল, লোক সংগীত, সাধারণ নৃত্য, লোক নৃত্য, আবৃত্তি, হামদ-নাদ, দেশের গান, চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা থাকবে।
বইমেলার নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তা কর্মীরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া সিএমপি কমিশনারকে মেলায় সার্বক্ষণিক পুলিশের সহযোগিতার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে। সমগ্র মেলা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ফ্রি ওয়াইফাই সহ ই-বুক ও সেলফি কর্নারের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী নিয়ে স্টলের ব্যবস্থা থাকবে। মেলা পরিষদের কক্ষ, মেলা কর্নার, ফায়ার সার্ভিস, অভ্যর্থনা কক্ষ, মিডিয়া বুথ, বিটিবি বুথ, এটিএম ব্যাংকের বুথ ও সার্বক্ষণিক সেবা ব্যবস্থার জন্য সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের সার্ভিস বুথ থাকবে বলে জানান মেয়র।
মেয়র আরো বলেন, মেলাকে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি কর্মী ও সংস্কৃতি প্রেমীদের নিয়ে বিভিন্ন উপ-পরিষদ গঠন করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় প্রতিদিনের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এবার রবীন্দ্র-নজরুল উৎসব, বসন্তবরণ উৎসব, ভালোবাসা দিবস, আঞ্চলিক ও লালনগীতি, মাইজভান্ডারী সংগীত, লোক সংগীতসহ স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বইমেলা কমিটির আহবায়ক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাছান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের আহবায়ক ও কবি শাহ আলম নিপু, প্রকাশক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বলাকা প্রকাশনের সত্ত¡াধিকারি জামাল উদ্দিন, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া প্রমুখ।