চট্টগ্রামে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি

35

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। পুলিশ প্রশাসনকেও অনুমতির ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই সম্ভাব্য তারিখ ধরে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে লালদিঘি মাঠে সমাবেশ করার কথা বলা হলেও সর্বশেষ কাজির দেউড়ি মোড়েই অনুমতি মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছ।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা আগামী ২০ জুলাই মহাসমাবেশ করতে চাচ্ছি। এটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশ হবে। বিভাগের সকল জেলার নেতাকর্মীরা আসবেন। লালদিঘির মাঠে করতে চেয়েছিলাম সেখানে অন্য অনুষ্ঠান থাকায় কাজির দেউড়ি মোড়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ২০ জুলাই বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। লালদিঘিতে মহাসমাবেশ করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে বৃক্ষ মেলা থাকায় আমরা হয়তো লালদিঘি মাঠ পাবো না। এ অবস্থায় কাজির দেউড়ি মোড়ে মহাসমাবেশ করবো। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মহাসমাবেশ করা হবে। সবচেয়ে বৃহৎ আকারের মহাসমাবেশ হবে এটি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা থেকে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ঘোষণার আলোকে নগর বিএনপি মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে। নগরীর কাজির দেউড়ি মোড় অথবা জেলা পরিষদ চত্বরে এ মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। মহাসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার জন্য লালদিঘি মাঠ চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে বৃক্ষমেলা থাকায় কাজির দেউড়ি মোড় ও জেলা পরিষদ চত্বর চেয়ে অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। মহাসমাবেশে মহাসচিবসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সর্বেশেষ গতবছরের অক্টোবরে নূর আহমদ সড়কে (নাসিমন ভবনের সামনে) ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে মহাসমাবেশ করা হয়। তখন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঐ মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা শেষে ফেরার পথে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করকে আটক করে পুলিশ। মহাসমাবেশের দিনও বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছিল।