চট্টগ্রামে নতুন ভোটার দুই লক্ষ ৮৪ হাজার

57

ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। হালনাগাদ শেষে প্রণীত তালিকা অনুসারে দেশে ভোটার বেড়েছে ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩০ জন। সব মিলিয়ে এখন দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এবারের হালনাগাদ শেষে চট্টগ্রামে ভোটার বেড়েছে দুই লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৩৪ জন। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৯ লাখ ২১ হাজার ৯৪৮ জন।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান পূর্বদেশকে বলেন, ‘ঢাকায় জাতীয়ভাবে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চট্টগ্রামেও আমরা একটি তালিকা তৈরি করেছি। এ তালিকায় কিছু ভোটার এদিকসেদিক হতে পারে’।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার পাঁচলাইশে ১৭ হাজার ৭৫৪ জন, চান্দগাঁওয়ে ১১ হাজার ৪৭৬ জন, কোতোয়ালীতে ৯ হাজার ৯৬৭ জন, পাহাড়তলীতে ১১ হাজার ৯৫৩ জন, ডবলমুরিংয়ে ১৫ হাজার ৮৫৭ জন, বন্দরে ১৮ হাজার ৭৭ জন মিলে সর্বমোট ৮৫ হাজার ৮৪ জন নতুন ভোটার হয়েছে। এছাড়াও স›দ্বীপে ১২ হাজার ৪৯৩ জন, ফটিকছড়িতে ১৯ হাজার ২১৬ জন, হাটহাজারীতে ১৭ হাজার ৫৯০ জন, রাউজানে ১৭ হাজার ৮৪৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১১ হাজার ৬৩ জন, বোয়ালখালীতে ১৩ হাজার ২৭০ জন, পটিয়ায় ১৭ হাজার ৮২৩ জন, সাতকানিয়ায় ১৬ হাজার ৬৭০ জন, বাঁশখালীতে ১৬ হাজার ২০৩ জন, চন্দনাইশে ৬ হাজার ৭০৬ জন, লোহাগাড়ায় ৭ হাজার জন, মিরসরাইয়ে ১৮ হাজার ৩০৩ জন, সীতাকুন্ডে ১০ হাজার ২৭৮ জন, কর্ণফুলীতে পাঁচ হাজার ৯৯১ জন, আনোয়ারায় ৮ হাজার ৩০১ জন নতুন ভোটার হয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম ধাপে ছয় উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন উপজেলা ও থানায় এ কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে।
এদিকে গতকাল সোমবার সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও পালিত হয়েছে ভোটার দিবস। সকাল সাড়ে ১০ টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘ভোটার হয়ে ভোট দিব, দেশ গড়ায় অংশ নিব’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। আমরা চাই চসিক নির্বাচন যেন ঢাকা সিটি নির্বাচনের মতো না হয়। কিভাবে ভোট প্রদানে আগ্রহ বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে কাজ করছি? সুতরাং মত প্রকাশের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তা আমরা পালন করবো। এছাড়া আগে যে ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের সম্ভাবনা থাকতো, এখন তা করা যায় না। ইভিএম সব দিক থেকে সুরক্ষিত। আমরা যে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি, এটিই তার প্রমাণ।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটার হওয়ার মাধ্যমে শুধু ভোট দেওয়া নয়, নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া। আগামি চসিক নির্বাচন উৎসবমূখর করতে সকলে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করুন এবং সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করুন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম। এর আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সার্কিট হাউজ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ঘুরে আবার সার্কিট হাউজে গিয়ে শেষ হয়।