চট্টগ্রামে ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে : ডিসি

33

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রিত। নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা যদি ঘর-বাড়ি, স্কুল-কলেজ, অফিস ও নিজের অঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি তাহলে এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে পারবে না। আমরা শিঘ্রই চট্টগ্রামকে ডেঙ্গুরোগ মুক্ত রাখতে সক্ষম হবো।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্যেগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান-২০১৯ উপলক্ষে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, সবাইকে সচেতন হতে হবে, জ্বরকে যেন স্বাভাবিক ভাবে না নেয়। স্বাভাবিক জ্বর কিনা চেক এবং ডেঙ্গুর লক্ষণ আছে কিনা দেখতে হবে। সামান্য জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও সর্দির জন্যে যেন গণহারে ডেঙ্গুর চিকিৎসা করতে না যায় সে দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। গণহারে চিকিৎসা করতে গেলে কিট সংকট দেখা দেবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা প্রোগ্রাম চলছে। জেলা প্রশাসন পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ পরিষ্কার পারচ্ছন্নতা অভিযানের পাশাপাশি সচেতনামূলক প্রোগ্রাম
গুলো হাতে নিয়েছে। স্কুল, কলেজ ও সোসাইটির সংযুক্ত করে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন আরো বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চট্টগ্রামে লোক আসছে। লোহাগাড়া শনাক্ত হওয়া একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র। জ্বর নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছেন। এখানে গতকাল পর্যন্ত ২৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী ছিল। প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ জন রোগী বাড়ছে। গতকাল যে কয়েকজন রোগী এসেছিলো তাদের মধ্যেও কয়েকজন ঢাকা এসেছেন। ‘আসুন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজের আঙ্গিনা ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভ‚মিকা রাখি’ শ্লোগানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, ফায়ার সার্ভিস উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ও সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দীন (পিএফএস)। খবর বিজ্ঞপ্তির