চট্টগ্রামে খনন করা হবে ২৪ খাল ও ৮১ পুকুর

204

সারাদেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এবার খাল ও পুকুর খননের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। চট্টগ্রামেও দশ উপজেলায় ২৪টি খাল ও আট উপজেলায় ৮১টি পুকুরকে এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে খননকৃত খালগুলো বেদখল- ভরাট বন্ধ করা হবে এবং পুকুরে হাঁস, মৎস্য চাষ ও মাচাং তৈরি করে সবজি উৎপাদনসহ প্রযোজ্য আয়বর্ধ কাজ করা হবে।
সারাদেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, ‘এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে (ডিসেম্বরে) প্রকল্পটির কাজ দৃশ্যমান হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের নদী ও খালগুলোকে যাতে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া যায় সেজন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। নাগরিক জীবনের কারণে খাল-নদী কমেছে ও দখল হয়েছে। নদী ও খালের জায়গা ফিরিয়ে দিতে এবং দেশের জলাধারগুলোতে যাতে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো যায় সেজন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পানির ধারণক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি আপদকালীন সময়ে পানির প্রবাহ বাড়ানো যাবে।’
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক পুকুর/দিঘি, খালসমূহ উন্নয়ন কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডিজিটাল ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। মাটির কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি রিয়াল টাইম ডাটা ট্রান্সমিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ আধুনিক টোটাল স্টেশনের মাধ্যমে প্রি-ওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্ক জরিপ, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন এবং ওয়েব ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে মনিটরিং করা হবে। গত অক্টোবর থেকে রিয়াল টাইম টোটাল স্টেশনের জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে এমন উপজেলাকেই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের দশ উপজেলার প্রায় ২৪টি খালের ৭০ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হবে। রাউজানের ডাবুয়া খাল, কেচিয়া খাল, বোয়ালখালীর ব্রাহ্মণখালী খালের দুটি অংশ, চন্দনাইশের বরগুনি খাল, গুল্যাছড়ি খাল, ফটিকছড়ির কুতুবছড়ি খাল, পাটিয়ালছড়ি খাল, লোহাগাড়ার সাতঘর ছরা খাল, বামি খাল, কৃষ্ণখালী খাল, মিরসরাইয়ের কাটাছড়া খালের দুই অংশ, ইদলপুর খাল, পটিয়ার জঙ্গলখাইন কাজীর খাল, হুলাইন নিমতল দরগা খাল, রাঙ্গুনিয়ার ইলক খাল, পূর্ব সাহাদ্দি নগর বাইজ্জআছড়ী খাল, সীতাকুন্ডের ফুলছড়ি খাল, ধুলিয়া খাল, চাঁদ শিকদার খাল, সাতকানিয়ার চক্কা কোদালা খাল, হিলিমিলি খাল ও সুয়ালক খাল খননের তালিকায় রাখা হয়েছে। একইভাবে হাটহাজারীতে দুটি, রাউজানে ২৯, ফটিকছড়িতে ৯টি, মিরসরাইয়ে ১১টি, রাঙ্গুনিয়ায় তিনটি, স›দ্বীপে ১১টি, সীতাকুন্ডে নয়টি, বোয়ালখালীতে পাঁচটি ও সাতকানিয়ায় দুটি মিলিয়ে মোট ৮১টি পুকুর ও দিঘি খনন করা হবে।