চট্টগ্রামকে পরিণত করব শান্তির আবাসভূমিতে

18

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে চট্টগ্রামবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মার্চ মাসে একটি বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে আমাদের সামনে। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি একটি বড় সুযোগও। আমাদের সামনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এটিই মুজিববর্ষের প্রথম নির্বাচন। বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকা ও বঙ্গবন্ধুকন্যার মনোনয়ন নিয়ে আমি মেয়র প্রার্থী হয়েছি। আমি ভোটারসহ চট্টগ্রামবাসীর দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।
এদিকে গতকাল চকবাজার, পশ্চিম ষোলশহর ও শুলকবহর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ৭০ সালে নৌকার বিজয়ে বাঙালি স্বাধীনতা পেয়েছে। ৯৬ এ পেয়েছে উন্নয়নের সূচনা। ২০০৮ এ নৌকার বিজয় এনে দিয়েছে উন্নয়ন অগ্রগতিতে অভাবনীয় সাফল্য।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছুবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়েই প্রণীত হয়েছে শতবর্ষী উন্নয়ন পরিকল্পনা। উন্নয়নের প্রধানতম শর্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। আর আমাদের চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বর্ণদুয়ার। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামের মানুষের প্রত্যাশার মূল্য দিব। এমন চট্টগ্রাম উপহার দিতে চাই, যে চট্টগ্রাম হবে বেকারমুক্ত, পরিবেশবান্ধব, নারী ও শিশুবান্ধব, পর্যটকবান্ধব, গতিশীল, সমৃদ্ধ, দৃষ্টিনন্দন ও শান্তির আবাস ভূমি। এ লক্ষ্য অর্জনে আমি নৌকা মার্কায় আপনাদের মূল্যবান ভোট, দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে আমি সিটি কর্পোরেশনকে সত্যিকার অর্থে নাগরিকবান্ধব একটি সেবাসংস্থায় রূপান্তর করব। নাগরিদের জন্য কর্পোরেশনের দুয়ার ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রত্যেকটা নাগরিক কর্পোরেশনের সাথে হট লাইনে সংযুক্ত থাকবেন। সকলেই তাদের অভাব, অভিযোগ ও মতামত রাখবেন। কর্পোরেশনের সকল পরিকল্পনায় এমন একটি ব্যবস্থাই আমি চালু করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি বঙ্গবন্ধু সমাপ্ত করতে পারেননি, জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্বভার গ্রহণ করে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে আজ মর্যাদাশীল অবস্থানে আসীন করেছেন। যেখানে বিএনপি-জামায়াত ব্যর্থ হয়েছে। তারা রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দেশে বিদেশে চক্রান্ত শুরু করেছে। তাদের চক্তান্ত থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যেই আসবে নৌকার বিজয়।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক আহমদুর রহমান সিদ্দিকী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও চিকিৎসক নেতা ডা. শেখ শফিউল আজম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, চকবাজার থানার সভাপতি আলহাজ সাহাব উদ্দীন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, আতিকুর রহমান, আবদুর রহমান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধরী, শেখ সরওয়ার্দী, আবদুর রহিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক কেবিএম শাহজাহান, কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আলম, মোবারক আলী, সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্ট, ইসকান্দর মিয়া, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, মির্জা আহমেদ, জসিম উদ্দিন, লায়ন আলমগীর আলম, এমএ আজিজ, আবু নাছের চৌধুরী আজাদসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি