চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলবো

9

 

করোনাকালে চট্টগ্রামের জন্য একজন চিকিৎসক মেয়র দরকার দাবি করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর চেয়ে আমি ভিন্ন। ৩৫ বছর চট্টগ্রামের মানুষের জন্য রাজনীতি করছি।
মানুষের সুখ-দুঃখ বুঝি। করোনাকালে মানুষের পাশে থেকেছি, এখনও সাহায্য সহায়তা করছি। ফ্রি ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি। তাই চট্টগ্রামের মানুষ আমাকে পছন্দ করে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে আমি মেয়র নির্বাচিত হবো।
গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, শুলকবহর ও দুই নম্বর গেইট এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী। সন্ত্রাসী কার্যক্রম আমাদের মধ্যে নেই। কয়েকদিন ধরে দেখেছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা কীভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ধারা উপহার দিতেই নির্বাচনের মাঠে বিএনপি। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা যে কাজগুলো করছে, অনতিবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হোক।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলবো। পাশাপাশি এই চট্টগ্রামে পর্যটন নগর গড়ে তুলে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেবো। কারণ চট্টগ্রাম পর্যটননির্ভর একটি বিভাগ। এখানে সি-বিচ আছে, ফয়’জ লেক, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি আছে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে পর্যটন নগর গড়ে তোলা যায়।
তিনি বলেন, পর্যটন নগর হলে দেশের অর্থনীতিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতে চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে কল্পনাও করা যায় না। মেয়র নির্বাচিত হলে সচেতন নাগরিকদের পরামর্শকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাবান্ধব ও মডার্ন নগরী গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, করোনার প্রকোপ এখনও যায়নি। বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তুলনামূলক করোনা রোগী বাড়ছে। আমি একজন চিকিৎসক। আমি জানি, কীভাবে করোনা থেকে মানুষকে বাঁচানো যায়। এই মহামারিতে চট্টগ্রামের মানুষের আমার মতো একজন চিকিৎসক মেয়র দরকার।
গণসংযোগ ও পথসভায় ডা. শাহাদাত ছাড়াও বক্তব্য দেন আবুল হাশেম বক্করসহ দলীয় নেতারা।