চকরিয়ায় হামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত

44

চকরিয়ায় বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদের নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা স্কুলের সামনে ও বুড়িপুকুর রাস্তার মাথা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, বুধবার দুপুরে চিরিংগা ইউনিয়নে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাসিনা আহমেদ এর নির্বাচনী গণসংযোগ উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে এলাকায় জড়ো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে গেলে সংঘর্ষ হয়। লাঠিচার্জ করে তাদের বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
এডভোকেট হাসিনা আহমেদ দাবী করেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা ও পথসভা করার জন্য মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকেই পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করে। চকরিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসায় আতংকে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা।
তিনি আরও দাবী করেন, বুধবার সকাল থেকে মগবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়ে মহড়া দিলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।