চকরিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করল প্রেমিক

52

চকরিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসায় পড়–য়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে চকরিয়া পৌর এলাকার মগবাজার উম্মাহাতুল মো’মেনীন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি নার্সরীতে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী ওই মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত ধর্ষক মোহাম্মদ হোছাইন প্রকাশ বাঘা (২৬) চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার মাস্টারপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীন জুনুর ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পিতা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, চলতি বছরের শুরু দিকে আমার মাদ্রাসায় পড়ুয়া কিশোরী কন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তুলে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার মাস্টারপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীন জুনুর ছেলে মোহাম্মদ হোছাইন প্রকাশ বাঘা (২৬) নামের এক যুবক। এ প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে আমার মেয়েকে কৌশলে বাড়ি থেকে বের করে এনে মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি নার্সরীতে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবহিত করলে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাদেরকে আটক করে মাদ্রাসায় নিয়ে আসার পথে অভিযুক্ত ধর্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসার হলরুমে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করেন। কিন্তু মাদ্রাসা ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সেই সমঝোতা বৈঠক আর সফল হয়নি।
ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও শনিবার দুপুরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি নার্সারীতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে প্রেমিক মোহাম্মদ হোছাইন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তারপরও অভিযুক্ত যুবক মোহাম্মদ হোছাইনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। তবে মাদ্রাসা ছাত্রী ও ওই যুবকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনেছেন বলেও জানান তিনি।