কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমির বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আব্দুল হামিদ (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড়ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে চকরিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে আসামীদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরণদ্বীপ এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত আব্দুল হামিদ ওই ইউনিয়নের বুড়িপুকুর এলাকার আহামদ হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, চিংড়ি প্রকল্পের দখলদারিত্ব নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার বিকালে চরণদ্বীপ চিংড়ি প্রকল্প আব্দুস সালাম মাঝির ছেলে বাহাদুর গং ও আব্দুস সালাম গংদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় বাহাদুর গংদের পক্ষে আব্দুল হামিদ অংশ নেয়ার গুজব রটে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ আব্দুস সালামের নেতৃত্বে এমরান, আখতার, নূরুচ্ছফা, গুরাইয়্যা, আব্দুর রশিদ, মুবিন ও হাবিবা বেগমসহ ১০-১২জন সশ¯্র সন্ত্রাসী গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চরণদ্বীপ এলাকাস্থ আব্দুল হামিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় আব্দুল হামিদ ওই বাড়িতেই ছিলেন। সন্ত্রাসীরা এ সময় বাড়িতে ঢুকে আবদুল হামিদকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও বুকের বাম পাশে গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা তার বাড়ির মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় জমির বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আব্দুল হামিদ নামে এক কাঁকড়া ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে